শুক্রবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে ৪৯ বছর পর ৪ কোটি ২০ লাখ ব্যয়ে ল্যান্ডফিল নির্মাণ

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৪৯ বছর পর ময়লা- আবর্জনা ফেলার স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়োবর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের ফলে অসহনীয় দুর্গন্ধ ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেয়েছে পৌরবাসী। দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের হারুখালী মাঠ এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে ওই এলাকায় যে অস্বস্তিকর পরিবেশ ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে পথচারীরা মুক্তি পেয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭৪ সালের ৮ আগস্ট ঈশ্বরদী শহরের পোস্ট মোড়ে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। ৩১ দশমিক ১০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পৌর এলাকায় ১ লাখ ৩ হাজার ২৯৫ জন বসবাস করেন। ১৯৮৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী পৌরসভা ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ (প্রথম) শ্রেণিতে উন্নীত হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় পৌরবাসীর দুর্ভোগ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। পৌর কর্তৃপক্ষ ও পৌরবাসী সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলতো। এতে সড়কে চলাচলকারীদের দুভোর্গ পোহাতে হতো। এখন শহরের যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে ফেলায় পৌরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় জিওপি, এডিবি ও এফআইডির অর্থায়নে পৌর শহরের ফতেহ মোহাম্মদপুর এলাকায় ২০১৮ সালের ১২ জুলাই স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়োবর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় করা হয় ৪ কোটি ২০ লাখ ২২ হাজার ৩৩১ টাকা। এছাড়া এ প্রকল্পের জন্য ২ দশমিক ৯৭ একর জমি কেনা বাবদ খরচ হয় ১ কোটি ৬৯ লাখ ২১ হাজার ৮৬০ টাকা। ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর এটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল চালু হয়। স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়োবর্জ্য শোধনাগারে পাম্প হাউজ, সেটেলমেন্ট ট্যাংক, ফিল্টার, পলিশিং, ডাম্প ট্রাক ক্লিনার সেন্টার, কন্ট্রোল বিল্ডিং, অফিস বিল্ডিং রয়েছে। এছাড়া পুরো স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এরিয়ার চারপাশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্প থেকে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়োবর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এখন স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে এবং পৌরবাসীর এতদিনের ময়লার দুর্গন্ধ ছড়ানোর অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে। স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে ফেলা পচনশীল বর্জ্য থেকে পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্য জিনিসপত্রগুলো আলাদা করাটা এখন একটি চ্যালেঞ্জ। এটি পুরোপুরিভাবে সফল হলে পচনশীল বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন হবে।

ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা জানান, পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী ভাগাড়ে ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং বন্ধ করতে হবে। সড়কের পাশের ভাগাড়ে ময়লা ডাম্পিং করার ফলে দুর্গন্ধ ছড়াতো। এতে সবাই অস্বস্তিবোধ করতো। এখন পৌরসভা আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়োবর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করেছে। ফলে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হয়েছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ