লিপি খাতুন চাকরি করতেন পাবনার ঈশ্বরদীর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড)। আগামীকাল শুক্রবার বেতন পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। বেতনের টাকা তুলে ছেলেমেয়ের জন্য জামা কেনার কথা। কিন্তু তা আর হলো না।
বৃহস্পতিবার ( ৩১ আগস্ট ) সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান মোড়ে নাটোর-পাবনা সড়কে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর দুই ছেলেমেয়েসহ লেগুনার পাঁচ আরোহী। নিহত লিপি খাতুন লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকার মাজেদুল ইসলামের স্ত্রী।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে লিপি খাতুন নিজ বাড়ি থেকে লেগুনায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সদরে ইপিজেডে কাজ করার উদ্দেশে বের হন। লেগুনায় ওঠার পরপরই পাবনার দিক থেকে আসা একটি ট্রাক লেগুনায় ধাক্কায় দেয়। এতে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান লিপি খাতুন। আহত হন তাঁর দুই সন্তানসহ লেগুনার পাঁচ আরোহী। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বনপাড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী আগামীকাল আগস্ট মাসের বেতন তুলে ছেলেমেয়ের জন্য জামা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আজ ঈশ্বরদীতে এক আত্মীয়ের বাসায় ছেলেমেয়েকে রেখে তাঁর কাজে যাওয়ার কথা ছিল। আগামীকাল সকালে বাজার করে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। আমি এখন বাচ্চাদের নিয়ে কীভাবে থাকব?’
ছেলেমেয়ের জন্য লিপি খাতুনের জামা কেনার স্বপ্ন পথেই শেষ হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ করেন প্রতিবেশী খোরশেদ আলী।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলিমুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাক ও লেগুনা জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।