বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লী প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ওবাইদুর রহমান জিলানীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই নারীর ভাষ্য, ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ত হয় তাঁদের। একপর্যায়ে তাঁদের প্রথম দেখা হয় পাবনার টেবুনিয়াতে। এরপর দেখা করার জন্য ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লী প্রকল্পে নিয়ে আসেন জিলানী৷ সেখানে নিজ অফিস কক্ষে জোর করে ধর্ষণ করেন। এরপর বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে সেখান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলসহ তার কয়েকজন আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে সেখানে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে টালবাহানা করতে থাকে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিযোগ, এ সকল বিষয়ে জিলানীর বাবা খন্দকার আব্দুল মান্নান মুকুলকে জানালে তিনি ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্ত পরবর্তীতে জানা যায় আরেকজন মেয়ে সাথেও আমার মতোই দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ও শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তাকেও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টালবাহানা দেখিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে খন্দকার আব্দুল মান্নান মুকুল বলেন, আমি আমার ছেলের সাথে কথা বলেছি। আমার ছেলের সাথে দুইটি মেয়ের সম্পর্ক আছে বলে আমি জেনেছি। এ কারণে আমি আমার ছেলেকে বলেছি যে কোনো একটি মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে জানাও। দুইজনের সাথে বিয়ে দেওয়া তো সম্ভব না৷
এ বিষয়ে ওবাইদুর রহমান জিলানীর বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।