বাজারে সরবরাহ বাড়ায় আদা ও কাঁচা মরিচের দাম দ্রুত কমতে শুরু করেছে। তিন দিন আগেও ঈশ্বরদীর খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা এবং আদা ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। রবি ও সোমবার দাম কমে কাঁচা মরিচ ১৫০-১৬০ টাকা এবং আদা ১৬০-১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এর আগে কাঁচা মরিচ ৪৫০ টাকা এবং আদা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
আড়তে পাইকারি বিক্রেতারা কাঁচা মরিচ ১১০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে ১৫০-১৬০ টাকা। আদা আড়তে ১৪০-১৫০ টাকা। খুচরা বাজারে ১৮০-২০০ টাকা। তবে ভ্যানে মাইক লাগিয়ে ১৬০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি করতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার সকালে ভ্যানে করে ১৬০ টাকা কেজিতে আদা বিক্রির সময় খুচরা ক্রেতাদের ভীড় জমে যায়।
ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে বাজারে আদা ও কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে থাকে। ব্যবসায়ীরা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কম হয়েছে। এ কারণে সরবরাহে ঘাটতি হওয়ায় দাম বেড়েছে। আড়তের পাইকারি বিক্রেতারা জানান, বাজারে আদা ও কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি ভারত থেকেও আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে দাম কমতির দিকে।
পাইকারি বিক্রেতা সঞ্জয় সরকার জানান, বাজারে ভারতীয় মরিচের পাশাপাশি দেশি মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। এরই মধ্যে বিপুল আদা আমদানি হয়েছে। ফলে কমতে শুরু করেছে দাম। ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আর বাড়ার আশঙ্কা নেই। উলটো দাম কমবে।
খুচরাবিক্রেতা সম্ভুনাথ কুণ্ডু বলেন, বাজারে আদা ও কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে। বাজারে আমদানির ওপর দাম নির্ভর করে। রবিবার কাঁচা মরিচ ১১০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও সোমবার আবার বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা।
হাফিজা খাতুন নামে এক ক্রেতা বলেন, রান্নার কাজে আদা ও কাঁচা মরিচ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। মাসাধিক সময় ধরে আদা ও মরিচের দাম বেড়ে নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। তবে দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। দাম আরও কমা উচিত। আরেক ক্রেতা মিলন কর্মকার ভ্যান থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দেড় কেজি আদা কেনেন। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে আবার কখন দাম বেড়ে যায়, তা তো বলা যায় না। বাজার নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের প্রতিনিয়ত নানাভাবে ঠকতে হচ্ছে।