বুধবার , ৫ জুলাই ২০২৩ | ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার
Ticker news is only displayed on the front page.

দু'জনের অর্থদণ্ড
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকার অবৈধ বালুমহালে প্রশাসনের অভিযান

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ৫, ২০২৩ ১১:২৩ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় অবৈধ বালুমহালের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাবনার ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালনা করেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু এবং ঈশ্বরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) টিএম রাহসিন কবির।

অভিযানে ড্রেজার মালিক ভেড়ামারা উপজেলার ফয়েজুল্লাহপুর গ্রামের ইদ্রিস প্রামাণিকের ছেলে আরিফুল ইসলামকে ও রায়টা গ্রামের বজলু মহলদারের ছেলে রফিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

জানা যায়, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ বালুর ব্যবসা। পাহাড় সমান বালুর স্তূপ সাজিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই শুধু ম্যানেজ করেই বছরের বছর জমিয়ে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নদী তীরবর্তী গাইড ব্যাংক এলাকা কৃষিকাজের জন্য রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি অফিস থেকে লিজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে কৃষিকাজ না করে নিজ গ্রহীতাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে বালুর ব্যবসা চলছে। খরচ বলতে নৌকা ভাড়া, চাঁদা আর লেবার খরচ। বালুর স্তূপ বড় হতে হতে বিশাল স্তূপের আড়ালে ঢাকা পড়েছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু।

রেলওয়ে প্রকৌশলীদের মতে, বালুর স্তূপের কারণে বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর স্রোত বাধাগ্রস্ত ও গতিপথ পরিবর্তন হয়। এতে ব্রিজের পিলার ও গাইড ব্যাংকের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন।

ঈশ্বরদীর সরকারী কমিশনার (ভূমি) রাহসিন কবির বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তারা যত শক্তিশালীই হোক না কেন আইনের আওতায় আনা হবে। দিনের বেলায় ঈশ্বরদী এলাকায় কোথায়ও ড্রেজার পাওয়া যায়নি। তবে কেপিআইভূক্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে এবং গাইড ব্যাংক এলাকা জুড়ে বিশাল বিশাল বালুর স্তূপ রয়েছে। যারা বালুর স্তূপ করে রেখেছে তাদেরকে দ্রুত বালু সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রেলের স্টেট অফিসার বর্তমানে সৌদি আরবে আছেন। তিনি দেশে আসলে ওই জায়গা মাপামাপি করবো। এরপর যদি জায়গা রেলের হয়, বালু অপসারণে রেল ব্যবস্থা নিবে। আর জায়গা যদি আমাদের হয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ