ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর সাঁড়া ইসলাম পাড়া বালু ঘাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৪ যুবলীগ কর্মীকে নৌকা ও স্পীডবোটে করে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারপিট ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ করা হয়েছে। আহত যুবলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম রবুকে মুমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে ঈশ্বরদী ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ঈশ্বরদীর সাঁড়া পদ্মা নদীর বালু ঘাটের অদুরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নৌকার মাঝি স্বপন হোসেন জানান, নদীর ঈশ্বরদী প্রান্তে বালু ঘাটের আধিপত্য নিতে কুষ্টিয়ার কুখ্যাত পান্না বাহিনীর প্রধান ‘কাকন’ ওরফে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ এর নেতৃত্বে আরব মেম্বার, রমজান আলী, রায়হান আলী ও রাসেল হোসেনসহ একদল সন্ত্রাসীরা স্পীডবোর্টে এসে যুবলীগ কর্মী ও বালু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবু, ইমন হোসেন, লিটন মিয়া ও নৌকার মাঝি স্বপনকে অস্ত্রের মুখে নৌকাসহ তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের স্পীডবোটে উঠিয়ে লালপুর প্রান্তের নদীর চরে নিয়ে বেদম মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে রবুকে মৃত ভেবে পদ্মার চরে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ও সাঁড়ার ইসলামপাড়া বালু ঘাটের অন্যান্য বালু ব্যাবসায়ীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাকিল আহমেদ জানান, কুষ্টিয়ার কুখ্যাত পান্না বাহিনীর প্রধান ‘কাকন’ ওরফে ‘ইঞ্জিনিয়ার’সহ তাদের লোকজন লালপুর প্রান্ত থেকে ঈশ্বরদী প্রান্তে এসে ইসলাম পাড়া ঘাটে আধিপত্য বিস্তার করতে এসে অস্ত্রের মুখে যুবলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম রবুসহ বালু ঘাটের কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আমরা নৌ পুলিশের সহায়তায় তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) জামাল হোসেন ও মোঃ মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় আহতরা থানায় এসেছিল। তাদের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।