বুধবার , ৩ মে ২০২৩ | ১০ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

মাসিক চুক্তিতেই ঈশ্বরদীতে উৎপাদিত হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ৩, ২০২৩ ১:৫২ পূর্বাহ্ণ

►প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে চলছে উৎপাদন ►বস্তার ‘ইনার লাইনার’-এর ছাড়পত্রে শপিং ব্যাগ


মাসিক চুক্তিতে ঈশ্বরদীতে উৎপাদন হচ্ছে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে ব্যবহারের পলিথিন উৎপাদনের জন্য ঈশ্বরদীতে কাউকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আর পলিথিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলেছে, পলিথিন উৎপাদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেওয়া আছে।

দেড় যুগের বেশি সময় ধরে এই অবৈধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করেই শিল্পপতিষ্ঠান, দামি গাড়ি, বাড়ির মালিক হয়েছেন ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়ার নওফেল মালিথার ছেলে মো. শিপন আলী মালিথা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শৈলপাড়া এলাকায় নওফেল মালিথার ছেলে শিপন আলী মালিথা নিজ বাড়িতে উৎপাদন ও বাজারজাত নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন উৎপাদনের বিশাল কারখানা স্থাপন করেছেন। ভেতর থেকে তালা দিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে। আশপাশে ঘোরাঘুরি করে শিপনের নিযুক্ত করা লোকজন। এই কারখানায় শিপন সুপার ১ নম্বর কোয়ালিটি নামে উৎপাদিত পলিথিন ঈশ্বরদীসহ আশপাশের পাবনা, নাটোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া জেলার হাট-বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পলিথিন কারখানার মালিক শিপন আলী মালিথা মুঠোফোনে জানান, পলিথিন উৎপাদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর শাখা থেকে ছাড়পত্র নেওয়া আছে। তার কারখানায় ছোট নয় বড় পলিথিন তৈরি করা হয়। ছোট পলিথিন তিনি ঢাকা থেকে কিনে আনেন। সেই পলিথিন স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করেন বলে দাবি করেন তিনি।

তবে প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে নিজস্ব ঝামেলা থেকে তার পলিথিন কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছেন দাবি করে শিপন আলী মালিথা জানান, তার কারখানায় পলিথিন উৎপাদনের ছাড়পত্র থাকায় অভিযানের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জব্দকৃত পলিথিন ফেরতও দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা শাখার পরিদর্শক জি এম নজরুল ইসলাম জানান, পলিথিন কারখানার মালিকের সঙ্গে মাসোহারার চুক্তির কারণে অভিযান চালানো হয়, এটা সঠিক না। মূলত জনবলের সংকটের কারণেই নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা শাখার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হোসাইন জানান, ঈশ্বরদীতে শিপন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ফিড মিলের বস্তার ভেতরে থাকা বড় পলিথিন তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে এখন সরকারিভাবে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন উৎপাদন করছেন, এই খবরটি জানা ছিল না। শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঈশ্বরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত টি এম রাহসিন কবির জানান, ঈশ্বরদীতে ভূমির উর্বতা ও পরিবেশ নষ্টকারী নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন উৎপাদনের বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ