পাবনার ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ফলে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। রৌদ্রতপ্ত চৈত্র মাসে দিনের বাতাস মরু অঞ্চলের মতো আগুনের হল্কা ছড়াচ্ছে। ফলে রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোক সমাগম কমে গেছে। আবার শীতের কারণে রাতে গায়ে কম্বল বা কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৭.২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা লেগেছে ঈশ্বরদীসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। দিনের বেলায় চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদ ও গরমের তীব্রতা। আর রাতে শীত। ঈশ্বরদীসহ আশেপাশের এলাকাজুড়ে গত কয়েকদিন ধরেই এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় আবহাওয়ায় বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়ে দিনে গরম আর রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় বিকিরিত তাপ ওপরে চলে যাচ্ছে। এতে পরিবেশ দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ায় রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে।
এছাড়া উত্তরের হাওয়া ধীরে ধীরে দিক পরিবর্তন করলেও সেটির প্রবাহ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। বৃক্ষ নিধনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের ধাক্কা লেগেছে। শীত ও গরমের ভারসাম্য কমে গেছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান বেড়েছে।
ঈশ্বরদী অফিসের আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন স্থানীয়রা। সর্দি-কাশিতে ভুগছেন এ অঞ্চলের মানুষজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসমা খান বলেন, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। সেই সঙ্গে ডায়রিয়াও হচ্ছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা হাসপাতালের মা ও শিশু বিভাগের ডা. আব্দুল বাতেন বলেন, দিনে গরম আর রাতে শীতের কারণে শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধরাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।