মিলজোন ও ননমিলজোন এলাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে কমে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। একবছরের ব্যবধানে আবাদ কমেছে ৪২ ভাগ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ঈশ্বরদী বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ইক্ষুজাতের পোকামাকড় দমনে কলাকৌশল শীর্ষক কর্মশালায় প্রশ্নত্তোর পর্বে আখের আবাদ ব্যাপকহারে কমে যাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, ২০০৪-০৫ অর্থবছর হতে আখ চাষ কমলেও বিগত অর্থবছরে আখের আবাদে সর্বোচ্চ ধস নামে। ইতোমধ্যে দেশে ছয়টি চিনিকল বন্ধ হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে চিনির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বৈশ্বিক কারণে আখ চাষের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ইরিগেশন (সেচ) ব্যয় বেড়েছে ৪০ ভাগ। শ্রমিকের মজুরি ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা। উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও কৃষকের আখের দাম বাড়ানো হয়নি।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) ট্রেনিং অব দ্যা ট্রেনার্স (টিওটি) পরিচালক ইসমৎ আরা সভাপতিত্বে ও বিএসআরিই‘র প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসআরআই’র মহাপরিচালক ড. ওমর আলী, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ ও নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কীটতত্ব বিভাগের প্রধান ড. আতাউর রহমান। কর্মশালায় বিভিন্ন চিনিকলের প্রতিনিধি ও আঁখচাষীরা অংশ নেন।