গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
২১ মার্চ গুলশানে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। প্রায় আধা ঘন্টা সময় ধরে সাংবাদিকদের সাথে আন্তরিক পরিবেশে তাঁর এই বৈঠক চলে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহপাকের অশেষ মেহেরবানীতে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমি যেন এ দায়িত্ব যথাযত ভাবে পালন করতে পারি।
আপনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন আপনার অনুভুতি কি সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাষ্ট্রপতি হবো কখনও কল্পনাও করিনি। এটি আমার কাছে ছিল দুরাশা। আমি জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে চেয়ে ছিলাম, সে ব্যাপারে দলীয় সভানেত্রীর কাছে ইচ্ছা পোষন করেছিলাম তিনি আস্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু তিনি এতো বড় উপহার দেবেন স্বপ্নেও ভাবিনি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। বঙ্গবন্ধুকে স্ব- পরিবারে হত্যা করার পর জিয়া সরকার আমাকে বন্দী করে তখন আমি একটি কলেজের শিক্ষক ছিলাম। তারপরও আমাকে ডান্ডাবেড়ী- হ্যান্ডকাপ পরিয়ে মাসের পর মাস নির্যাতন করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি সাংবাদিকতাও করেছি, আমি দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছি।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঈশ্বরদী বিমান বন্দর চালু ও রেলগেটে ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবী করা হলে তিনি বলেন, ঈশ্বরদী বিমান বন্দর চালু হওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ, পারমানবিক প্রকল্প, ঈশ্বরদী ইপিজেড সহ পাবনা ও আশে পাশের এলাকার মানুষের ব্যবসা বানিজ্যে দ্রুত ও স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে বিমানবন্দরটি চালু হওয়া জরুরি। কারণ দেশের মানুষের আয় ও ক্রয় ক্ষমতা রেড়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
