মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদী-৪ বছরেও উদঘাটিত হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার রহস্য

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ ৫:৫০ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদী-৪ বছরেও উদঘাটিত হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার রহস্য

পাবনার ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যার চার বছর পূর্ণ হয়েছে। তবে এখনও এই খুনের রহস্য উদঘাটিত হয়নি। বর্তমানে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পাবনা।


নিহত সেলিম এলাকায় প্রতিবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম পাকশী থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। রাতে নিজ বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিৎকার দিলে বাড়ি থেকে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পেটে ও পিঠে গুলির দুটি ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান। এ সময় তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ির সামনে থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের ছেলে তানভির রহমান তন্ময় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে পাকশী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাসের ছেলে রকি বিশ্বাস এবং ভাতিজি আরজু বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া রাজীব ও লিখন নামের আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা আদালত থেকে জামিন পান।

ওই হত্যাকাণ্ডের পর ঈশ্বরদীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ওই সময় তারা ঈশ্বরদী, পাকশী, দাশুড়িয়া ও পাবনায় অনেকগুলো মানববন্ধন ও পথসভা করেন। এক দিন আধাবেলা হরতাল কর্মসূচি পালন করা হয়। হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে ২০১৯ সালের ৮ মে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে তানভীর রহমান তন্ময় বলেন, ‘মামলার অগ্রগতি দেখছি না। পুলিশ ইচ্ছে করলে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত বের করতে পারে। কিন্তু কেন তারা করছে না, তা আমার জানা নেই।’ তিনি অবিলম্বে খুনিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই, পাবনার ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি রাতের অন্ধকারে সংঘটিত হয়েছিল। এ কারণে নির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। আপাতত অগ্রগতি নেই, বলার মতো তেমন কিছু নেই। জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমাদের আঙ্গিকে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!