পাবনার ঈশ্বরদীর বাগানের গাছগুলোতে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবারে নতুন পাতা গজিয়েছে কম। তবে বাগানে বাগানের আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বেশিরভাগ গাছেই মুকুল এসেছে। আম উৎপাদন নিয়ে এবারে সংশয় নেই বলে চাষী ও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে বিগত মৌসুমে উদ্ভিদের শাখার অগ্রভাগে কার্বনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় নতুন পাতা বেশি দেখা দিয়েছিল। প্রায় প্রতিটি বাগানেই নতুন পাতায় ছেঁয়ে গিয়েছিল। এবারে নতুন পাতার পরিমাণ খুবই কম। আর সঠিক সময়েই আমের মুকুল এসে ভরে গেছে। এবারে আমের উৎপাদন বেশি হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করেছে।
আওতাপাড়ার আম চাষি জিয়াউল কবীর বলেন, এলাকার অনেক বাগানে ঘুরেছি। বেশিরভাগ গাছেই মুকুলে ভরপুর। এখন পর্যন্ত ৮০ ভাগ আম গাছে মুকুল এসেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব গাছে মুকুল চলে আসবে। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষীরা। ফাল্গুনের শুরুতে গরম বাতাসে ঝেটে বেরিয়েছে মুকুল।বাড়তি ফলনের আশায় আগাম পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা।
আম চাষিরা জানান, বাড়তি ফলনের জন্য এবং পোকা মুক্ত আর আমের রং ঠিক রাখতে কীটনাশক ও ভিটামিন দিয়ে আমের গাছ স্প্রে করছি। যেন মুকুল বেশি ও ভালো হয়। গাছের গোড়ায় জৈব সারসহ সেচ দিয়েছি যে কারণে মুকুল ভরে গেছে।
সলিমপুরের আম চাষি হাসান শেখ বলেন, গাছের আগাছা পরিষ্কার করে সার-ভিটামিন জাতীয় ঔষধ দিয়ে ছোট বড় সকল গাছের পরিচর্যা শুরু করেছি। পাশাপাশি পোকা দমনে কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করছি। এতে পোকা দমন হবে এবং গাছে এসেছে স্বাস্থ্যকর মুকুল।
ঈশ্বরদীতে খিরসা, হিমসাগর, ফজলি, তোতাপুরি, লক্ষণভোগ, আশ্বিনা, গোপালভোগ, আম্রপালি, কাটিমন, বারি-৪ সহ অনেক জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। আমের দাম গতবছর ভালো থাকায় এবছর আম গাছের পরিচর্যায় আগ্রহ বেড়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, আমের আবাদ হয়েছে ৫৬০ হেক্টর জমিতে। যা গতবারের চেয়ে বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের পক্ষ হতে চাষিদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।