প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, যারা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা এই মেশিনটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। বাংলাদেশে আনা এই অত্যাধুনিক মেশিনে শতভাগ ত্রুটিমুক্ত ভোট গ্রহণ সম্ভব।
তবে ইভিএমের বিষয়ে আস্থার সংকট রয়েছে।রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদীর বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায় শীর্ষক এক আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল, একজনের ভোট আরেকজনে দেওয়া, আগের রাতেই ভোট দেওয়া এবং ভোটের পর ফল পরিবর্তন হয়ে যাওয়া- এসব বন্ধ করতেই ইভিএম আনা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে এগুলোর কোনোটিই সম্ভব নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সবগুলো বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিছু দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান। আমাদের নির্বাচন করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। রাজনৈতিক দলে নিজেদের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়া থাকে, সেটি যেন আলোচনার মাধ্যেমে সমাধান করেন। আমরা চাই সবার সহযোগিতায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করা।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী প্রমুখ।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিলাশীকরণ (এসসিডিইসিএস) প্রকল্পের অধীনে রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার আঞ্চলিক এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।