বাংলাদেশের দেয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। ৬৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ভারতকে ম্যাচে ফেরান আয়ার ও প্যাটেল। তবে শেষদিকে নাটকীয় ম্যাচে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম বার ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু লিটনের সিদ্ধান্তের যোগ্য সম্মান দিতে ব্যর্থ হন ব্যাটাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ১১ রান যোগ করতেই বিজয়কে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কা দেন মোহাম্মদ সিরাজ। অবশ্য বিদায়ের একবল আগে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি।
বিজয়ের বিদায়ের পর লিটনকে সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (২৩ বলে ৭)। ইনিংসের ১২তম ওভারে তরুণ পেসার উমরান মালিক বল হাতে নিয়েই গতির ঝড় তুলতে থাকেন। সাকিবকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে সামলাতে। এক ওভারেই কয়েকবার পরাস্ত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে ওই ওভারটি মেইডেন দিলেও আউট দেননি সাকিব।
এক ওভার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে পেয়ে আর উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি উমরান। প্রথম বলেই তিনি ১৫১ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতির এক বলে ভেঙে দেন শান্তর স্টাম্প। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর সাকিব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ওয়াশিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২০ বলে ৮ রানেই থামে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ইনিংসটি।
এরপর এক ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মুশফিক খেলছিলেন বেশ দেখেশুনে। সুন্দরের ঘূর্ণিতে তার প্রতিরোধও ভেঙে যায় ১৯তম ওভারে। মুশফিক ডিফেন্ডই করেছিলেন। বল তার গ্লাভসে লেগে শর্ট লেগ ফিল্ডার ধাওয়ানের হাতে চলে যায়।
২৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। সুন্দরের তার ঠিক পরের বলেই আফিফ হোসেন লাইন মিস করে হন বোল্ড (০)। তখন দলীয় রান ৬৯। একই রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে গোল্ডেন ডাক মারেন আফিফ হোসেন। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে দলের হাল মিরাজ ও রিয়াদ।