পাবনার ঈশ্বরদীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৭ বছর বয়সী শিশুকন্যাসহ আব্দুস সালাম মোল্লা নামের এক যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটেছে। আহত বাবা ও মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুস সালাম মোল্লা (৪৪) ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়ে আয়েশা খাতুন (৭) মশুরিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী। সালাম ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মশুড়িয়া পাড়া এলাকার আঃ করিম মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সালাম মোল্লার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ঝাড়িপুকুর এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে শাকিল হোসেনের পূর্বের বিরোধ ছিল। রোববার সালাম মোল্লা তার মেয়ে আয়েশাকে সাথে নিয়ে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের সামনে এলে শাকিলের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে শাকিলের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে প্রথমে সালাম মোল্লাকে পেটে আঘাত করে শাকিল। পরে একে একে পিঠে, হাতে ও মেয়ের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায় সে।
স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুস সালাম মোল্লাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে শাকিল পালিয়ে গেছে, তার মোবইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।