পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক গ্রেপ্তার হয়েছেন। শহরের ককটেল বিস্ফোরণ করে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ করা মামলায় গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আনিসুলকে গ্রেপ্তারের পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিএনপির অন্য নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বিএনপি নেতাদের দাবি, রাজশাহীর সমাবেশ ঠেকাতে এই গ্রেপ্তার আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। তবে এতে সমাবেশ থামানো যাবে না।
বিএনপি নেতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, আনিসুল হক সম্প্রতি শহরে ককটেল বিস্ফোরণের একটি মামলার আসামি। তাঁকে আগে থেকেই খোঁজা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শহরের কালাচাঁদ পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর পাবনার ৭টি উপজেলায় বিএনপির প্রায় ৬০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনে ৭টি মামলা দেয় পুলিশ। মামলার পর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন বিএনপি নেতারা। তবে গত কয়েক দিনে কেউ গ্রেপ্তার হননি। গতকাল রাতে যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রেপ্তারের পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।
জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ২১ নভেম্বর মামলা করার পর থেকেই তিনি বাড়িছাড়া। অন্যরাও বাড়ি ছেড়ে আছেন। অনেকে সমাবেশে যোগ দিতে রাজশাহী পৌঁছে গা ঢাকা দিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ ঠেকাতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। এতে নেতা-কর্মীরা বাড়ি ছাড়া হলেও তাঁদের আর থামানো যাবে না। তাঁরা যে করেই হোক সমাবেশে যাবেন। গ্রেপ্তার হলেও বাধা মানবেন না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কাউকে আতঙ্কিত করা পুলিশের কাজ না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়াই পুলিশের কাজ। পুলিশ সেটিই করছে। অপরাধ করলে তাঁকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। প্রকৃত অপরাধীদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। অন্যদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।