পাবনার ঈশ্বরদী শহরে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ১৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আসামীরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সুলভ মালিথা, পৌর যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ ও সদস্য সচিব মেহেদি হাসান।
বুধবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শীতল কুমার বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করেন।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদরের আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন, উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, মঙ্গলবার রাতে ককটেল বিস্ফারণের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতা-কর্মীরা যাতে অংশ নিতে না পারেন, সে উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, বিভাগীয় মহাসমাবেশ উপলক্ষে উপজেলাজুড়ে বিএনপির কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। তাঁদের ভয় দেখানোর জন্যই সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো ‘নাটক’ মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম জানান, আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।