শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান চিকিৎসক ডা. রায়ান সাদী ও তার মালিকানাধীন ‘টেভোজেন বায়ো’। ক্যান্সার ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য তাকে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
১৯৬৪ সালে ৬ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুরে জন্মগ্রহণ করেন ডা. রায়ান সাদী। তার বাবা তৈয়ব হোসেন ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। রায়ান সাদী তার একমাত্র সন্তান। বাংলাদেশি এ চিকিৎসক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পর যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে লিডারশিপ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হেলথ পলিসি এবং অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্য বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের টিমের অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. রায়ান। বর্তমানে তিনি আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়ার ৫১ দেশের চিকিৎসা-সেবা সহজলভ্য করা নিয়ে কাজ করছেন।
নিউইয়র্ক সংলগ্ন নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে সপরিবারে বসবাসরত ডা. সাদী ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য-সেবা নিয়ে সারাবিশ্বে কর্মরতদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থানকারী পাঁচজনের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি এমন সব জটিল রোগের চিকিৎসা-পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছেন যার ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। এই কাজের জন্য তিনি ‘টেভোজেন বায়ো’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই প্রতিষ্ঠান ক্যান্সারসহ নানা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্তদের নিরাময়ে বিশেষ একটি চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কার করেছে।
এদিকে ডা. রায়ান সাদী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ডা. দীপু মনির সহপাঠী ছিলেন রায়ান সাদী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ, চেয়ারম্যান ও সিইও Tevogen Bio, এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমরা গর্বিত। সাদীর প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সাদী ও তার পরিবারের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা।’’