জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত এখনো পাকিস্তানের দালাল। ওরা পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর এখনো আস্থা আনতে পারেনি। শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে প্রয়াত সংসদ সদস্য, ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফের কবর জিয়ারতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, বাংলাদেশকে গড়তে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। বিএনপি জামায়াতের কাজ হলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, হাঙ্গামা লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুট করা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেউ অংশগ্রহণ করবে কিনা? জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার টুকু বলেন, যথাসময়ে সংবিধান সম্মতভাবেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে কারা আসলো? কারা আসবে না! এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। যারা আসবে, তাদের নিয়ে প্রয়োজনে সংসদ চলবে।
মিথ্যাচার করতে করতে বিএনপি নেতাদের জিহ্বা অনেক বড় হয়ে গেছে। মিথ্যাচার করতে করতে বিএনপি নেতাদের জিহ্বা অনেক বড় হয়ে গেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে তারা নানা উসকানিমূলক ও মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এসব মিথ্যাবাদীর বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শনিবার (১ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদীতে মৌবাড়িয়া মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে এমন কথা বলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শামসুল হক টুকু আরও বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র নয় মাসেই সংবিধান উপহার দিতে পেরেছিলেন, জাতীয় সংবিধানে তো উল্লেখ রয়েছে, ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা রয়েছে। যে বাংলাদেশে মানুষ নির্বিঘ্নে, নিশ্চিতে যার যার ধর্ম পালন করবে। আজ দেশে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি সুখী, অসাম্প্রদায়িক এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা, শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য রাজনীতি করেন, দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি আনার জন্য রাজনীতি করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, বীর-মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নায়েব আলী বিশ্বাস, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) পি, ইমরুল কায়েস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খাঁন, ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ইসাহক আলী মালিথা, বেড়া পৌরসভার মেয়র ব্যারিস্টার আসিফ শামস রঞ্জন, ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) হাদীউল ইসলাম, লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ছোট ভাই আনিসুর রহমান শরীফ, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সেজো ছেলে, ঈশ্বরদী উপজেলা,আওয়ামী লীগ সাবেক সদস্য, গালিবুর রহমান শরীফ, ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল প্রমুখ।
তার আগে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা সাবেক ভূমিমন্ত্রীর গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার পর তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।