বিতর্ক ও মাইনুল আহসান নোবেল একই সুতোয় বাঁধা। দেশের লিজেন্ডদের কটুক্তি করে লাইমলাইটে উঠে আসা যেনো তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এর আগে প্রয়াত কিংবদন্তী ব্যান্ড তারকা আইযুব বাচ্চুসহ অনেককে নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন তিনি। এজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলো প্রশাসন। সে সময় মুচলেকা দিয়ে পার পেয়েছিলেন তিনি। এবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন এই সংগীতশিল্পী।
বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার রাবীদ্র সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করার দাবি জানান।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার রাবীন্দ্রিক
সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হউক।
মাইনুল আহসান নোবেল পরিচিতি পেয়েছেন জি বাংলার সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো সারেগামাপা থেকে। কভার করেছেন দেশের লিজেন্ডদের গান। রাতারাতি খ্যাতি পেয়ে যান নোবেল।
খ্যাতি পাওয়ার পর একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেছিলেন, দেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, লিজেন্ড শিল্পীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নোবেল। সবশেষ সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধকে বাঁচানোর মিথ্যা গল্প শুনিয়েছিলেন।
এরপর নগর বাউল জেমসকে নিয়ে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। জনপ্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবুকে ‘চোর’ বলেও উল্লেখ করেছেন নোবেল। যদিও নোবেল দাবি করছেন, তার ফেসবুক হ্যাক হয়েছে। তবে পুরোপুরি নয়, আংশিক।
সেই বিতর্কের রেশ না কাটতেই নতুন বিতর্কে জড়ান নোবেল। গানের সুর ও সংগীতায়োজনের মালিকানা নিয়ে সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ূনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তিনি। তারপর এই বিষয়ে খোঁজ নিতে এক সাংবাদিক তাকে কল করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ হুমকি দেন নোবেল। এবার তিনি কু-মন্তব্য করলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে।