বুধবার , ৬ জুলাই ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

‌‌‌‘প্রয়োজন বেশি’ হলে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেবে পুলিশ

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ৬, ২০২২ ৭:৫১ অপরাহ্ণ
‌‌‌‘প্রয়োজন বেশি’ হলে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেবে পুলিশ

অন্য কোনো মাধ্যমে আসন্ন ঈদে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ না থাকলে বা যৌক্তিক কারণে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চালকদের বাধা দেবে না পুলিশ। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মোটরসাইকেল চালককে তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি মুভমেন্ট পাস দেবে পুলিশ। এ পাস দেখিয়ে ওই মোটরসাইকেল চালক নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারবেন।

যৌক্তিক কারণ দেখালে মোটরসাইকেল চালকদের বাধা না দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৬ জুলাই) রাতে এমন নির্দেশের কথা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞার পর আমাদের কাছে আরও একটি নির্দেশনা আসে। দ্বিতীয় নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব মানুষ মোটরসাইকেল করে ঈদযাত্রা করবেন তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় পদক্ষেপ নিতে। চালকরা যদি মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেন তাহলে তাদের ছেড়ে দিতে। যৌক্তিক কারণে পুলিশ সন্তুষ্ট হলে চালকদের একটা মুভমেন্ট পাস দেওয়া হবে। এই পাস দেখানোর পর সেই চালক তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারবেন।

এছাড়া মহাসড়কগুলোতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষেও মোটরসাইকেল আটকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কারণ জানতে চাওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কেননা ঈদযাত্রা ও ফিরতি যাত্রায় মহাসড়কেও প্রচুর গাড়ির চাপ থাকে।

এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোটরসাইকেলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সরকারি নির্দেশ। আমাদের তা মানতেই হবে। তবে ঈদযাত্রার সময় এমনি প্রচুর গাড়ির চাপ থাকে রাজধানীর সড়কগুলোতে। জায়গা জায়গায় থাকে কোরবানির পশুর হাট। এ পরিস্থিতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এর মধ্যে আবার যদি মোটরসাইকেল চেক করে নিশ্চিত হতে হয় ঈদযাত্রা কিনা অথবা কেন কোথায় যাচ্ছে মোটরসাইকেল চালক তাহলে তো আরও বেশি যানজটের সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন পয়েন্ট পয়েন্টে। তবে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে পরিস্থিতি যতটুক নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

এর আগে গত ৩ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে (ভার্চুয়ালি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন ঈদুল আজহায় সাত দিন সারাদেশের মহাসড়কে যৌক্তিক কারণ ছাড়া মোটরসাইকেল না চালানোর পাশাপাশি এক জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা মোটরসাইকেল অন্য জেলায় না চালানোর নির্দেশ দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে ও পরে সাত দিন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। বন্ধ থাকবে মহাসড়কে রাইড শেয়ারিং। ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। সরকারি এ নির্দেশনা পরিপালনে আগামী ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশমুখে মোটরসাইকেল আটকানো হবে। তবে রাজধানীর আশপাশে ঢাকা জেলার অধীন কোনো গন্তব্যে চলাচলকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকিট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমে মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এ বাহনটি কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে বাহনটির স্পিড লিমিট করে দেওয়া, লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে চলাচলের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে গণপরিবহনের অপ্রতুলতা-সঙ্কট সমাধান কিছুটা হলেও হবে। আর লাখ লাখ মানুষ বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ পাবে।

একই বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোটরসাইকেল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং নিয়ন্ত্রণ করে শৃঙ্খলায় আনা জরুরি। তাই বর্তমান সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আলাদা লেন মেনে সুশৃংখলভাবে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। না মানলে জেল জরিমানার জরুরি বিধান করা, অবৈধ লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল বন্ধে ঘন ঘন চেকপোস্ট বসানো, চলাচলের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করা যেতে পারে। তাই বলে পুরোপুরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এতে করে লাখ লাখ মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

আপনার জন্য নির্বাচিত

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ