মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী : ঈদুল আযহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও একনেকে রামেবির স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা:এ.জেড.এম মোস্তাক হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রামেবির কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ।
শনিবার সকাল ১১টায় রামেবির অস্থায়ী কার্যালয়ে উপাচার্যের নিজ কক্ষে এ ফুলেল শুভেচ্ছা বিনমিয় করেন তারা।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ.জেড.এম. মোস্তাক হোসেন বলেন, আরএমইউ প্রকল্পের ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোাপোজাল অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি রাজশাহীর নগর পিতা এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতি। যার সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগীতার দ্বারা প্রকল্পের কাজকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর পরে তিনি রামেবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রামেবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল কাদের, পরিচালক (প.উ.) ইঞ্জিনিয়ার মো: সিরাজুম মুনির, ডা. মো: জাকির হোসেন খোন্দকার, পরিচালক ( অ.হি.), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হাবিব, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন সহ রামেবির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ মে অধ্যাপক ডা. এ.জেড.এম. মোস্তাক হোসেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির বাস্তবিক রুপ দানের লক্ষ্যে ডিপিপি প্রনয়ণে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ায় এক বছরের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি বড় ও বিশেষায়ীত প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
গত (১৪ জুন) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন হয়েছে। ফলে খুব শিঘ্রই নির্মিত হতে যাচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মহানগরীর বড়বনগ্রাম, বারই পাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজার প্রায় ৬৮ একর জায়গার উপর দেশের প্রথম পরিকল্পিত এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে এখানে ১০টি অনুষদের অধীন ৬৮টি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবছর ৭৮০ জন গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিক্ষা ও গবেষনার সুযোগ পাবে।