√গল্প করে সময় পার
করছে বাজারের ব্যবসায়ীরা
√ পশুর হাটে কিনছেন
কম দেখছেন বেশি
ঈশ্বরদী বাজার সেজেছে ঈদের সাজে প্রতিটি দোকানে ঈদের নতুন নতুন কালেকশন শোভা পাচ্ছে। থানকাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিক, গার্মেন্টস, জুতা সেন্ডেলের দোকানগুলো কালেকশন করেছে নতুন নতুন সব জিনিস। দোকান গুলো ঈদের সাজে সাজলেও নেই ক্রেতা । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা মেলে না ক্রেতার সমাগম। বরং অন্য সময়ের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে। ঈদের বাকি ৭/৮ দিন অথচ এখনও জমে উঠেনি ঈদের বাজার। ব্যবসায়ীদের ধারণা আজ শনিবার থেকে হয়তো ঈদের বাজার জমে উঠবে।
ঈশ্বরদী বাজার
ঈশ্বরদী বাজারের জাকের সুপার মার্কেটের একুশে বুটিকের মালিক মাসুম পারভেজ কল্লোল বলেন, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, সিলেটসহ কয়েক জায়গায় বন্যা কারণে ঈদ বাজারে প্রভাব পড়েছে। এখনও ( গতকাল শুক্রবার) ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে এক/দুইদিনের মধ্যে বেচাকেনা জমে উঠবে। সেক্ষেত্রে আমাদের বুটিকসহ থানকাপড়ের বেচাকেনা শেষ। গামেন্টসসহ অন্য দোকান গুলো বাকি ৫/৬ দিন ভাল ব্যবসা করবে।
এদিকে উল্টোচিত্র উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় গরুর হাট অরণকোলাসহ ঈশ্বরদী উপজেলার পশুর হাট গুলোতে। হাট গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণের গরু ছাগলের সমাগম ঘাটলের নেই বিক্রি। কিন্তু ক্রেতার সমাগম আছে।
অরণকোলা পশুর হাট
গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে অরণকোলা পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্রেতাই গরু দেখছেন, দরদাম করছেন কিন্তু কিনছেন কম। ক্রেতারা গরুর দাম বেশির অভিযোগ করলেও বিক্রেতারা তা মানতে নারাজ। তারা বলছেন পশু খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হলেও গরুর দাম সেভাবে বাড়েনি। বেচাকেনা কম হলেও হাটে লোক সমাগম রয়েছে চোখে পড়ার মতো। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে হাট।
অরণকোলা পশুর হাটে মুশুড়িয়া পাড়া থেকে বড় ২ টি গরু নিয়ে এসেছিলো রবিউল ইসলাম নামের এক গরু ব্যবসায়ী একটার মুল্য হাকিয়েছেন ৪ লক্ষ টাকা আরেকটির মুল্য ২ লক্ষ ৬৫ হাজার।
গরু কিনতে আসা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আল-আমীন হোসেন জানান অনেকক্ষণ থেকে ঘুরছি গরুর মুল্য অনেক চড়া দাম চাচ্ছে প্রায় ২৮০০০/৩০০০০ টাকা মনের বেশি। ৩ মন ওজনের গরু গুলো চাইছে ১ লক্ষ করে। চালান লেখক মাহফুজুর রহমান মাশরিক বলেন, হ্যা মনে হচ্ছে গরুর দাম গত হাটের তুলনায় আজ ( মঙ্গলবার ) অনেকটা বেশি।
অরণকোলা পশুর হাটের ইজারাদার মিজানুর রহমান রুনু মন্ডল বলেন, হাটে পর্যাপ্ত গরুর আমদানি হয়েছে। লোকসমাগমও বেশি। কিন্তু বেচাকেনা তুলনামূলক কম। হাটে গরু কেনার চেয়ে দেখতে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি। আশা করছি আগামী হাট থেকে বেচাকেনা আরো বাড়বে।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, অরণকোলা পশুর হাটে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দিতে মেডিকেল টিম কাজ করছে। সন্দেহজনক গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।