রবিবার , ২৪ জুলাই ২০২২ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীতে বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আমন চাষিরা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ২৪, ২০২২ ৪:১০ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আমন চাষিরা

বৃষ্টির মৌসুম হলেও কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা মিলছেনা ঈশ্বরদীতে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেও বৃষ্টি না হওয়ায় ঈশ্বরদীতে রোপা আমন চাষাবাদে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। রোপা আমন চাষাবাদের ভরা মৌসুমেও কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। এদিকে প্রখর রোদে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা না পেয়ে দৃশ্চিন্তায় রয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলার আমন চাষিরা।

কৃষকেরা বলছেন, মধ্য আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমন ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হয়। তবে, এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় তারা আমন চাষাবাদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। মূলত বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে কৃষকেরা রোপা আমন চাষ করে থাকেন। সাধারণত বীজতলায় তৈরি হওয়া চারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে লাগানো হয়। তবে, অনেক কৃষকের চারার বয়স দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। গত সোমবার ঈশ্বরদী উপজেলার মাঠগুলোতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় জানা যায়, চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর এলাকায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। শ্রাবন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে খরিপ-২ রোপা আমন উফশী জাতের ধান রোপণ মৌসুম শুরু হয়। এ ধানের বীজ উৎপন্ন করা হয়েছে ২০১ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ১৮১ ও পৌর এলাকার ২০ হেক্টর জমি রয়েছে। বর্ষার ভরা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের মাধ্যমে বীজ উৎপন্ন ও চারা রোপণের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করছেন এখানকার কৃষকেরা। বৃষ্টির পানি ছাড়া আমন ধান উৎপন্নে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন এখানকার কৃষি বিভাগ।

কৃষকেরা জমিতে সেচের পানি ব্যবহার করে আপন ধানের চারা রোপণের জন্য ক্ষেত তৈরি করছেন। কোনো কোনো কৃষক নিজ উদ্যোগে পানির ব্যবস্থা করে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন পিয়ারপুর এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বছরও আষাঢ় মাসে দিনের পর দিন বৃষ্টি হয়েছে। তবে, এবার আষাঢ় মাস শেষ হলেও বৃষ্টি নেই। আমার মতো দরিদ্র কৃষকের পক্ষে সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করে আমন ধান চাষাবাদ করা কঠিন।

ঈশ্বরদীর সাঁড়া গোপালপুরের কৃষক মোতাহার বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ মৌসুমে আমন ধানের চারা রোপণের সময় শুরু হয় শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে। তিনি ৯ বিঘা জমিতে এবার আমন ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় এখনো তিনি চারা রোপণে ক্ষেত প্রস্তুত করতে পারেননি। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি না হলে সেচের পানি দিয়ে ক্ষেত প্রস্তুত করা হবে। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ ভালো হয়। তবে, পরিমাণ মতো বৃষ্টি না হলে এবার অনেক কৃষক আমন ধান লাগাতে পারবে না।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার বলেন, আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরি ও আমন ধান চাষে বৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। তবে, এখন বৃষ্টির দেখা নেই। একদিকে বৃষ্টি নেই, অপরদিকে তাপমাত্রা বুদ্ধি। এ দুই প্রাকৃতিক বৈরিতায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারপরও বেশির ভাগ কৃষক সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে আমন চারা রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি-না তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!