বুধবার , ৮ জুন ২০২২ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীতে এ বছর ৪ কোটি টাকার জাম বেচাকেনার টার্গেট : প্রতিদিন বিক্রি ২৫ লাখ টাকা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুন ৮, ২০২২ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে এ বছর ৪ কোটি টাকার জাম বেচাকেনার টার্গেট : প্রতিদিন বিক্রি ২৫ লাখ টাকা

বর্তমানে বাজারে ঠাকি জাম, হাঁড়ি জাম ও খুদে জাম পাওয়া যাচ্ছে। প্রকার ও আকারভেদে বর্তমানে পাইকার বাজারে প্রতিকেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। সকাল থেকেই আশপাশের গ্রামের বাগান মালিকরা গাছ থেকে জাম সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে হাজির হন মুলাডুলির হাটে।


পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের মামার বাড়ি কবিতার ‘পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ, ছোট বেলায় কবিতার এই পংক্তির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। কবিতার সেই স্বাদে ও গুণে সুখ্যাতির জন্য পাকা জামে রঙিন হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদী উপজেলার জামের পাইকারি হাট। ঈশ্বরদীতে অস্থায়ী আরো ৫/৬টি আড়তঘর থাকলেও সবচেয়ে বড় প্রতিদিন পাইকারি জামের হাট বসে মুলাডুলিতে। জাম স্বল্পকালীন ফল হওয়ায় বাজার স্থায়ী হয় সর্বোচ্চ এক মাস।

মুলাডুলি জামের পাইকারি হাটে এখন প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার জাম বেচাকেনা হয়। প্রতি বছর প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার জাম এখানে বেচাকেনা হয়। এ বছর দাম বেশি হওয়ায় আড়তদাররা প্রায় ৪ কোটি টাকা জাম বেচাকেনার টার্গেট করছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলাসহ পাশ্ববর্তি দুইটি উপজেলার জাম বেচাকেনা হয় এই হাটে। আর এই মুলাডুলি হাটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা জাম কিনতে আসেন।

ঈশ্বরদী উপজেলাসহ পাশ্ববর্তি আটঘরিয়া ও লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জামের গাছ। এসব গাছের জাম পাকার পর মালিকরা বাজারে নিয়ে আসেন।

বর্তমানে বাজারে ঠাকি জাম, হাঁড়ি জাম ও খুদে জাম পাওয়া যাচ্ছে। প্রকার ও আকারভেদে বর্তমানে পাইকার বাজারে প্রতি কেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের শুরুতেই জাম বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি। অন্যবারের তুলনায় এবার জামের দাম বেশি।

প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ট্রাক জাম সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সকাল থেকেই আশপাশের গ্রামের বাগান মালিকরা গাছ থেকে জাম সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে হাজির হন মুলাডুলির হাটে। তাই তো ভরা মৌসুমে এখন পাকা জামের রঙে রঙিন ঈশ্বরদীর ফলের আড়তগুলো।জাম বিক্রি করে এ অঞ্চলের কৃষকদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে।

মুলাডুলি পাইকারি ফলের হাটের আড়তদার মনির হোসেন বলেন, জুন মাসের প্রথম থেকে আমাদের এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের জাম হাটে নিয়ে আসে। এই হাট ছাড়াও এলাকার ভেতরে বেশ কিছু ছোট ছোট আড়তঘর রয়েছে। সেখানে কৃষকরা জাম নিয়ে বিক্রি করে। সেখান থেকে পাইকাররা আমাদের কাছে নিয়ে আসে। আমরা সেসব জাম কিনে দেশের বিভিন্ন বাজারের চাহিদা মোতাবেক যানবাহনে পাঠিয়ে দেই।

এক সময় কেবল কাঠের জন্য চাষিরা জামের গাছ লাগালেও এখন সেটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেন। দিন দিন বাড়ছে এই ফলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। তাই তো বাজারের এই জামের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। ঈশ্বরদীর জাম স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মানে ও স্বাদের সুখ্যাতির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা জাম কিনতে আসেন ঈশ্বরদীর মুলাডুলির ফলের হাটে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, ঈশ্বরদীতে বাণিজ্যিকভাবে জাম চাষ এখনো শুরু হয়নি। মুলাডুলি আড়তে যে পরিমাণ জাম বেচাকেনা হয় তাতে কৃষকরা একসময় বাণিজ্যিকভাবে জাম বাগান করতে উৎসাহিত হবেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!