সোমবার , ৩০ মে ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

পাবনা সুগার মিলের ৮০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশে মরিচা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ৩০, ২০২২ ৭:০২ অপরাহ্ণ
পাবনা সুগার মিলের ৮০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশে মরিচা

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় অবস্থিত পাবনা সুগার মিল ৪০০ কোটি টাকা দেনার দায়ে প্রায় দেড় বছর যাবৎ বন্ধ। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার পথে। চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষি ফেডারেশনের নানামুখী আন্দোলনের পরও চিনিকল চালুর কোনো উদ্যোগ আসেনি। মিলটি আদৌ চালু হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। আখচাষিরা মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন।

২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন পাবনা সুগার মিলসহ ৬টি মিলে আখ মাড়াই বন্ধ ঘোষণা করে চিঠি দেয়। চিনিকল কর্তৃপক্ষ বলছে, আপাতত মাড়াই বন্ধ রাখা হয়েছে, মিলটি আবার চালু হতে পারে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিল গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে গার্ড আর প্রশাসনিক কাজ চালু রাখতে এমডিসহ কয়েকজন কর্মচারি ছাড়া কেউ নেই। চিনিকলের ভেতরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে আখ পরিবহণের দুই শতাধিক ট্রলি। মাড়াইয়ের যন্ত্রপাতিগুলোও মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে।

চিনিকল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আখ মাড়াই প্ল্যান্টসহ চিনিকলে প্রায় ৮০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি রয়েছে। দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করায় মাড়াই যন্ত্রের ডোঙ্গা, নাইফ, ক্রাসার, বয়লার হাউস, রুলার, ড্রায়ারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।

মিলটিতে স্থায়ী, অস্থায়ী ও মৌসুমভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ২০০। তাদের বিভিন্ন মিলে সংযুক্ত করা হচ্ছে।বর্তমানে মিলটি প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দেনা রয়েছে।

বাংলাদেশ চিনিকল আখ চাষি ফেডারেশনের মহাসচিব এবং পাবনা জেলা আখচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি শাহজাহান আলী বাদশা বলেন, কৃষকদের স্বার্থে দেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল আখের উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য বন্ধ মিল চালু করা দরকার

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাবনা চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘চিনিকলটি এখনও পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। আধুনিকায়নের মাধ্যমে এটি চালুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে যতদিন পর্যন্ত চালু না হচ্ছে, তত দিন পাবনা জেলার আখচাষিদের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাবনা চিনিকলের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দেনা রয়েছে। আর মিলটিতে কর্মরতদের অন্য চিনিকলে সংযুক্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয় আখচাষিরা জানান, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া নামক জায়গায় ১৯৯২ সালে ২৭ ডিসেম্বর পাবনা সুগার মিলটি ৬০ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়। এটি চালু করতে ১২৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। মিলটি ১৯৯৭-৯৮ মাড়াই মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। পরের বছর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাড়াই মৌসুম চালু করে কারখানাটি।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ