সোমবার , ২৩ মে ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী-চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, নামী–বেনামি ২৭ জন আসামি

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৩, ২০২২ ৫:২২ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদী-চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, নামী–বেনামি ২৭ জন আসামি

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নে চোর সন্দেহে পিটিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ সোমবার নিহত যুবক রাব্বি হোসেন ওরফে চঞ্চলের (১৯) বাবা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রাব্বির বাবা জাহিদুল ইসলাম।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন-সাঁড়া ইউনিয়নের ইলশামারী গ্রামের খয়রব মন্ডল (৫৮), সাদেক আলী মন্ডল (৫৫) শওকত আলী মন্ডল (৩৩), সানোয়ার হোসেন (৩৫) মো. কায়েম (৪০), মো. সোহান মন্ডল (২৫) ও রজব আলী মন্ডল (৬০)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চোর সন্দেহে আসামিরা রাব্বি হোসেন চঞ্চলকে গত শনিবার রাতে ইলশামারী গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর কোণে একটি মুদিখানার দোকানের কাছে আটকায়। এ সময় আসামিরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে চঞ্চলের দুই পায়ের হাঁটুতে লোহার তারকাটা মেরে আহত করা হয়। পরদিন রোববার সকালে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চঞ্চলকে পাওয়া যায়নি। দুপুরে লোক মারফত খবর পেয়ে শহরের রেলগেট বাস টার্মিনালে একটি গাছের নিচে উপুড় হয়ে চঞ্চলকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাবা ও মা এসে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। কিন্তু আসামিরা পলাতক থাকায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’

উল্লেখ্য, উপজেলার সাড়ার ইলশামারি গ্রামে গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার দিকে চোর সন্দেহে রাব্বি হোসেন চঞ্চলকে এলাকার কিছু মানুষ হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটায়। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন সকালে তাঁকে প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়ির অভিমুখে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে তাঁকে ঈশ্বরদী বাস টার্মিনালে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে রাব্বির বাবা-মা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন :

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ