সোমবার , ২৩ মে ২০২২ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে হত্যা মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৩, ২০২২ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে হত্যা মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঈশ্বরদীতে মিঠুন আলী (২৫) নামে শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে হত্যার দায়ে জবা খাতুন (২৭) নামে এক তরুণীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ তাকে হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদেশের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রাজজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত মিঠুন ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া মহল্লার আব্দুল মজিদ প্রামানিকের ছেলে।

যাবজ্জীবন সাজপ্রাপ্ত নারী নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদীর বিসিক মোড় এলাকার মৃত সাগর শেখের স্ত্রী। মামলার অপর আসামি সাগর শেখ ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে পাবনা জেলা কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া এলাকা থেকে অটোরিকশাচালক মিঠুন আলীকে (২৮) দেখা করার কথা বলে মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় জবা ও তার স্বামী সাগর। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির পর রাতে সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের পাশে নির্জন এলাকায় জবার সহযোগিতায় দা দিয়ে কুপিয়ে মিঠুনকে হত্যা করে সাগর। পরে তারা মরদেহ ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনার ৮ দিন পর মিঠুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পরের দিন (১৪ আগস্ট) রাতে নিহতের বাবা আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে কল লিস্টের সূত্র ধরে দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যাকারী হিসেবে এই দম্পতিকে শনাক্ত করা হয়। পুলিশের তদন্তে জবা ও সাগরের হত্যায় সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়। পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাগর ও জবা জানায়, মিঠুন জবাকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে তারা।

এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখে স্বামী-স্ত্রীর নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকা প্রমাণ হওয়ায় আদালত আজ তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু ও অ্যাডভোকেট সাইদুল চৌধুরী। তারা জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে আপিল করার কথা জানানো হলে আমরা উচ্চ আদালতে খালাসের জন্য আপিল করব। সেখানে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেকসুর খালাস পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক জানান, প্রতিবন্ধী যুবকের কোনো গুরুতর অপরাধ না থাকলেও তুচ্ছ কারণে তাকে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয় তার ব্যবহৃত অটোবাইকটিও রং পরিবর্তন করে বাজারে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী পরিবারটি অসহায় ছিল। ছেলের অটোবাইকের আয়-রোজগার দিয়েই তাদের সংসার চলত। ছেলে হত্যার পর পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে যায়।

এই মামলার যিনি তদন্তকর্মকর্তা ছিলেন তিনি সঠিকভাবে তদন্ত করায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এই রায়ে উচ্চ আদালতে আপিল করলেও সাজা কমে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

আপনার জন্য নির্বাচিত

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ