ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরে পূর্ব শত্রুতার জেরে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে উলঙ্গ করে দুলাল হোসেন জয় (২৪) নামক এক যুবক কে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীর সন্ত্রাসীবাহিনী। গত রবিবার (২২ মে) সকাল ১০ টার সময় কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুলাল হোসেন জয় (২৪) ঈশ্বরদী মাহাতাব কলোনীর মৃত মান্নান শেখের ছেলে। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও ঘটনার ১০ দিন পরও এখন পর্যন্ত আসামিরা ধরা ছোয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত দুলাল হোসেন জয় রবিবার(২২ মে) সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রতিদিনের ন্যায় কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের গেটের সামনে তার নিজস্ব গাড়ি ওয়াশের দোকানে কাজ শুরু করে। তার ১০ মিনিট পরেই মোঃ সবুজ(২৫) পিতা-মোঃ খয়ের আলী, মোঃ খয়ের আলী(৫২) পিতা-অজ্ঞাত, মোঃ মমিন(২৪) পিতা-অজ্ঞাত, মোঃ মিরাজ(২২) পিতা-মোঃ সিরাজ সর্ব সাং ফার্ম কুয়াটার, মোঃ সুমন(২৭) পিতা- অজ্ঞাত, মোঃ মনিরুল( ২৪) পিতা-অজ্ঞাত উভয় সাং অরনকোলা, সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে এসে ১০,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে নতুবা তার দোকান ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। এতে দোকান মালিক দুলাল প্রতিবাদ করতে গেলে তারা বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি লোহার রড, রাম দা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সকলে মিলে এলোপাতাড়ি দুলালের উপর হামলা চালাই। প্রান বাচানোর জন্য সে দৌড়ে কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের ভিতর অবস্থান করে। সন্ত্রাসীরা দুলালকে টেনে হিচড়ে এনে শ্রেণীকক্ষের সামনে এনে উলঙ্গ করে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত ও যখম করে।
এসময় দুলালের দোকান ভাংচুর করা সহ তার কাছে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইল, গলার ৫ আনি স্বর্ণের চেইন, দোকানের সমস্ত মালামাল ও দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ ৯৩০০ (নয় হাজার তিন শত) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা চিৎকার চেচামেচি শুনে দুলাল কে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে গত রবিবার (২২ মে) ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পত্রের তারিখ ২২/০৫/২০২২। আহত দুলাল ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেন। তার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, তার একটি পায়ের দুই স্থানে হাড় ভেঙ্গে গেছে অপর পায়ের অবস্থাও ভাল নয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রিফার্ড করা লাগতে পারে।
আহত দুলাল হোসেন জয় বলেন, সন্ত্রাসী সবুজের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে আমার নাকের উপরে সজরে আঘাত করায় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এই মুহুর্তে আমি মূমুর্ষ অবস্থায় বাড়িতে নিরাপত্তায়হীনতায় ভুগছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানাচ্ছি।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মো. সেলিম রেজা বলেন, এ ব্যাপারে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। আমি ব্যাক্তিগত কাজে বাহিরে আছি। ঈশ্বরদী আসলে মামলা নথীভু্ক্ত হবে। আসামীরা পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।