ঈদকে সামনে রেখে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীতে। দিনরাত সমানতালে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেনারসি পল্লির কারিগররা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিনের মন্দা ভাব থাকলেও এবারে ঈদকে সামনে রেখে ভালো ব্যবসার আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁতিরা। দীর্ঘ দুই বছর লোকসান গুনতে হয়েছে। অনেকেই পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হয়েছে। এদিকে বেনারসি উপকরণের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী বেনারসি পল্লীর বেশীরভাগ কারখানাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি ব্যাগেজ পার্টি ভারত থেকে বেনারসি-কাতান আমদানি করায় পরিস্থিতি আরও নাজুক। তবুও ঈদকে সামনে রেখে তাঁতিরা বিভিন্ন সমিতি ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চালু করেছেন কয়েকটি কারখানা। স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়াবার।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেনারসি পল্লি ঈশ্বরদীতে। ভারতীয় নামী দামী ব্রান্ডের শাড়ির তুলনায় মানের দিক থেকে ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লিতে উৎপাদিত বেনারসি-কাতান শাড়ির মান অনেক উন্নত। এখানে বিন্দিয়া কাতান, পিওর বেনারসি শাড়িতে বিশেষ কারুকাজ, আনারকলি ও ফুলকলি ছাড়াও নেট কাতান, পিওর কাতান, ওপেরা কাতান, কুচি জামদানি তৈরি হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাহারি ডিজাইনের শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেনারসি পল্লীর তাঁতিরা। কারখানা বন্ধ থাকায় অনেক শ্রমিক পেশা পরিবর্তন করে রিক্সা, ভ্যান, অটো চালানোসহ অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। যেকারণে রয়েছে শ্রমিক সংকট।
কারখানা মালিক ও নাসিম শাড়ি কুটিরের মালিক নাসিম জানান, মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারলে এবং ব্যাগেজ পার্টির আমদানি বন্ধ হলে বেনারসি শিল্প আবারো প্রাণ ফিরে পাবে।
ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ওবাইদুর রহমান জিলানী জানান, ঈশ্বরদীর উৎপাদিত শাড়িগুলোর গুণগত মান, সৌন্দর্য, রং, নকশা বা ডিজাইন অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। তাই এখানকার বেনারসি ও কাতানের চাহিদাও রয়েছে।