চৈত্রের গরমে ফলের মধ্যে তরমুজের চাহিদা একটু বেশি থাকে। সঙ্গে যোগ হয়েছে রমজানও। এবার বাজারে ফলটির সরবরাহ ব্যাপক। তারপরও তরমুজের গায়ে লাগা আগুন অনেক ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে পারছে না। শনিবার ঈশ্বরদী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ‘বাজারের প্রতিটি ফলের দোকানে ব্যাপক তরমুজ, কিন্তু দাম! চৈত্রের গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তরমুজ এখন আর সাধারণ মানুষের খাবার নেই, তরমুজ এখন বড়লোকের খাবার।
ইফতারির জন্য তরমুজের দোকানে গিয়ে অনেককেই ওজন এবং দাম শুনে দামের জন্য শেষমেশ তরমুজ কিনতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
তরমুজ কিনতে আসা নয়ন নামের বলেন, ‘বাসা থেকে একটা তরমুজ নিতে বলেছে। কয়েকটা দোকান ঘুরছি। কিন্তু এত দাম চায় যে আর কিনতে পারলাম না। কেজি ৫০ টাকার নিচে কেউ দিব না। অথচ আমার সামনে দিয়া অনেক সাহেবেরা দামও জিজ্ঞেস করে নাই, পকেট থেকে টাকা বের কইরা দিয়া তরমুজ নিয়া চইলা গেল।’
শনিবার (৯ এপ্রিল) ঈশ্বরদী বাজার, রেলগেট, পোষ্ট অফিস মোড়, কলেজরোড় এলাকার ফলের দোকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তরমুজ ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে মিলছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে তরমুজের অভাব নেই। তবুও এত দাম বেশি। কেজিতে বিক্রি নিয়েও আপত্তি আছে ক্রেতাদের।
ঈশ্বরদী বাজারের ভ্রাম্যমাণ একটি দোকান থেকে তরমুজ কেনেন আজাদ হোসেন। তিনি জানান, পাঁচ কেজি ওজনের একটা তরমুজ নিয়েছি ৩০০ টাকা দিয়ে। অথচ বছর তিনেক আগেও পিস হিসেবে এ তরমুজের দাম সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ছিল। তরমুজ কেজিতে বিক্রি নিয়ে কত কথা হচ্ছে। অথচ এটি বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেই।
তরমুজের সরবরাহ নিয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। তবে বাড়তি দামের সঠিক কোনো কারণ ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না তারা। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, যে দামে কিনছেন, তার চেয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বাড়তি কোনো দাম রাখছেন না।
পিস হিসেবে কিনে কেজি ধরে তরমুজ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।