মঙ্গলবার , ৮ মার্চ ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

হত্যা মামলায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মার্চ ৮, ২০২২ ৭:০৯ অপরাহ্ণ
হত্যা মামলায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর

চট্টগ্রামে রেলওয়ের এক কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই ফাঁসি কার্যকর হয়। কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফাঁসি হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নন্দনসার এলাকার প্রয়াত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে মো. শিপন হাওলাদার (৩৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর পূর্বপাড়া এলাকার প্রয়াত ঈদুন মিয়া সরকারের ছেলে নাইমুল ইসলাম (৪৩)।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী ছিলেন শফিউদ্দিন। তিনি রেলওয়ে আমবাগান এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। রেলওয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মদ, জুয়া ও রেলওয়ের সম্পদ দখলের প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে রেলওয়ের জায়গা থেকে চার দফায় অবৈধ বস্তি ও কলোনি উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এর জের ধরে সন্ত্রাসীরা শফিউদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০০৩ সালের ১৪ জুন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রেলওয়ে কোয়ার্টারের সরকারি বাসায় ঢুকে গুলি করে ও কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। এরপর বোমা ফাটিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন হত্যাকারীরা।

এ ঘটনায় নিহত শফিউদ্দিনের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা মামলায় দুই আসামি শিপন ও নাইমুলকে ফাঁসি, সাত আসামির যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের পর তাঁদের চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। শিপন হত্যাকাণ্ডের সময় চট্টগ্রামের খুলশীর দক্ষিণ আমবাগান এলাকায় ও নাইমুল চট্টগ্রামের লালখান বাজার ডোবারপাড় এলাকায় থাকতেন। তাঁরা বন্ধু ছিলেন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আসাদুর রহমান বলেন, সাজার বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত রিভিউ খারিজ করে দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হলে সেটিও খারিজ হয়ে যায়। গত সোমবার রাতে শিপন ও নাইমুলের শেষ ইচ্ছা ছিল নান রুটি ও গরুর মাংস খাওয়া। সে অনুযায়ী তাঁদের তা খাওয়ানো হয়েছে।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, কারা বিধি অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ফাঁসির আগে পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ