সোমবার , ১৪ মার্চ ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে ফেসবুকে নারীদের হয়রানি : পরিবারও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মার্চ ১৪, ২০২২ ৫:২১ পূর্বাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে ফেসবুকে নারীদের হয়রানি : পরিবারও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন

কোন মেয়েকে রাস্তায় দেখলেন, পছন্দ হয়ে গেলো কিন্তু বলতে সাহস পাচ্ছেন না? আপনার সেই না বলা কথা বলার জন্য আছে ‘ক্রাশ এন্ড কনফেশন ঈশ্বরদী’ নামের একটি ফেসবুক পেজ। ঠিক এরকম ধারনা নিয়েই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নারীদের ছবি নিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির করা কনফেশনগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে এই পেজটি। আর এতে করে ছবি প্রকাশ হওয়া নারীরা পড়ছেন বিপাকে। ছবি এভাবে অনুমতি না নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার কারনে ইভটিজিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় হয়রানীর শিকার হচ্ছেন নারীরা। অনেকেই বলছেন, এই পেজের দ্বারা ভার্চুয়াল টিজিং এর স্বীকার হচ্ছেন নারীরা।

একাধিক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, যে কোন নারীর ছবি দিয়ে এই পেজে কয়েক লাইন কনফেশন লিখে দিলে তারা সেটা পোস্ট দেয়, আর এভাবে ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ফলে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার সুযোগ থাকছে।

সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, কিছুদিন আগে ওই পেজ থেকে তাঁর নাম ও ছবি সহ কনফেশন পোস্ট করা হয়। তারপর থেকেই রাস্তাঘাটে নানাভাবে উত্যক্তের স্বীকার হচ্ছে। তাছাড়া পরিবারেও আমাকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই পেজে বিভিন্ন ছেলে-মেয়ের নামে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি কনফেশন পোস্ট করা হয়েছে, যার সিংহভাগই স্কুল-কলেজে পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীদের। এসব ছবি প্রকাশ করা ছাড়াও, বিভিন অরুচিকর কন্টেন্ট তৈরীরও অভিযোগ উঠেছে পেইজটির বিরুদ্ধে।

ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, এই পেজ’র এই ধরনের কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

মেহেজাবিন আলম নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই পেইজে মন্তব্য লিখেছেন, আপনাদের কে নারীদের অনুভুতি কে সম্মান করতে হবে, এভাবে পণ্য বানিয়ে নারীকে জনসম্মুখে প্রকাশ করা কতটা সমীচিন?

লিজা তালুকদার নামের একজন বলেন, তাঁরা অনুমতি না নিয়ে ছবি পোস্ট করে দেয়, একাধিকবার বলার পরেও তারা এই ধরনের কাজ বারবার করে যাচ্ছে।

একাধিক ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ছবি পোস্ট হওয়ার পর তার নিজেদের পরিবারেও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন যা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।

এ ব্যাপারে কথা হয় মানবাধিকার নাট্য পরিষদ পাবনা জেলার সভাপতি আবদুল মতীন খানের সাথে। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের পেজ চালিয়ে সমাজে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরী করা হচ্ছে। এমনিতেই আমাদের সমাজে মেয়েরা নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় একটা চিন্তার মধ্যে থাকে, তার মধ্যে এভাবে যদি মেয়েদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে সেটা তাদের নিরাপত্তার জন্য একটা বিরাট হুমকি। এই সকল পেইজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ বলেন, ‘তাঁদের এ সকল বেপরোয়া কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই পেইজের এডমিন কে একাধিকবার ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তারা কোন উত্তর দেননি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই ফেসবুক পেজ তাঁদের নজরদারিতে আছে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই ।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ