মঙ্গলবার , ১৫ মার্চ ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে গোপনে কাটা হলো স্কুলের গাছ, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মার্চ ১৫, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে গোপনে কাটা হলো স্কুলের গাছ, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ঈশ্বরদীর বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমিতে থাকা ১০টি মাঝারি আকারের মেহগনিগাছ গোপনে কেটে নিয়েছেন রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত টিটিই (ট্রেন টিকিট এক্সামির) বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধানসহ অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সোমবার সকালে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল শহীদপাড়ায় গিয়ে এসব ঘটনার সত্যতাও মেলে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বাঘইল শহীদপাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নামীয় ১১৭০ নম্বর আরএস খতিয়ানের ৬৫৮৯ নম্বর দাগের ১৫ শতাংশ জমি আছে। জমিটি মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক টিটিই বাড়ির পেছনে হওয়ায় তিনি কৃষিজমি হিসেবে বিগত ২০-২৫ বছর আগে বাৎসরিক এক হাজার ২০০ টাকা হিসেবে খাজনা নেন। সেই সময় জমিতে ২০টি মেহগনির গাছ ছিল। কিন্তু তিনি দু-এক বছর জমির খাজনা দিলেও পরে আর খাজনা পরিশোধ করেননি। খাজনা বাবদ তাঁর কাছে ৪০-৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির। সম্প্রতি বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটি ভেঙে গেছে। খাজনা না দেওয়ায় জমিটি ভোগদখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিককে বলা হয়। এর পরই জমিতে থাকা ২০টি মেহগনিগাছের মধ্যে ১০টি গাছ কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকসহ অন্য কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক টিটিই তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। নানা রকম হুমকি-ধমকিও দেন বলে অভিযোগ।

সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত চারটি বড় গাছের ডালপালা কেটে গোড়ার অর্ধেক কাটা অবস্থায় রাখা। ৫০-৬০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি গাছ শিকড় পর্যন্ত কেটে মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে রাখা আছে।

বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘকাল ধরে জমির খাজনা না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক টিটিইকে জমিটির দখল ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি জমি না ছেড়ে গোপনে বিদ্যালয়ের ১০টি গাছ কেটে নেন। গাছ কাটার কারণ জানতে প্রথমে তাঁকে নোটিশ করা হয়। কিন্তু তিনি কর্ণপাত না করায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যালয় ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেহগনিগাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ