ঈশ্বরদীতে স্থানীয়দের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে র্যাব সদস্যদের। তারা সাদা পোশাকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ূলিয়ায় আসামি ধরতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গ্রামের জফিরপাড়া জামে মসজিদের সামনের এই ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, জফিরপাড়ার মসজিদে ফারুক প্রামাণিকের ইমামতিতে নামাজ চলছিল। সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষে হতেই পেছন থেকে সাদা পোশাকে তিনজন অপরিচিত লোক মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা জিহাদ প্রামাণিক নামে একজনকে আটক করেন। এতে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হট্টগোল শুরু হয় মসজিদের ভেতর ও বাইরে। আগন্তুকদের পরিচয় জানতে চাইলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে জানা যায় তারা র্যাব সদস্য। খবর পেয়ে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। হাতাহাতির সময় অস্ত্র খোয়া গেছে দাবি করে তারা দিনভর অভিযান চালায়। সন্ধ্যায় গ্রামবাসীর সঙ্গে সমঝোতা এবং অস্ত্র পাওয়ার পর র্যাব সদস্যরা এলাকা ত্যাগ করেন। তবে স্থানীয়দের আপত্তিতে জিহাদকে ছেড়ে দেয় র্যাব।
গ্রামবাসী জানান, স্থানীয় মাদ্রাসা হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে জফির প্রামাণিকের ছেলে সন্টু প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাইদের বিরোধ চলছে। হাটের ইজারা পান ফারুক-কামাল-জিহাদ প্রামাণিকরা। পরে একই হাট পার্শ্ববর্তী আলহাজ মোড়কে কাঁচাবাজার উল্লেখ করে ইজারা নেন সন্টু প্রামাণিক। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এক পর্যায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্টু লোকজন নিয়ে কাঁচাবাজারে গেলে তার চাচাতো ভাইয়েরা তাকে অবরুদ্ধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে ২৮ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেটি থানা পুলিশই তদন্ত করছে। এ মামলায় র ্যাব সদস্যদের অভিযানে যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। অভিযানের বিষয়টিও আমার জানা নেই। তবে ওই এলাকায় র ্যাবের একটি পিস্তল খোয়া গেলে সেটি খুঁজতে যাওয়ার কথা শুনেছি। স্থানীয়দের মাধ্যমে অস্ত্রটি উদ্ধার হলে র ্যাব সদস্যরা ফিরে যান।
এ বিষয়ে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) কিশোর রায় বলেন, একটি মামলার আসামি ধরতে সেখানে র ্যাব সদস্যরা গিয়েছিলেন। পরে যা ঘটেছে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই ভালো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
থানা পুলিশ যে মামলা তদন্ত করছে, সে মামলার আসামি ধরতে আপনারা কেন গিয়েছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাদী আমাদের বলার কারণে র্যাব সদস্যরা সেখানে যান।
সূত্র : সমকাল