মঙ্গলবার , ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ভেজাল চালে ঈশ্বরদীর বাজার সয়লাব

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
ভেজাল চালে ঈশ্বরদীর বাজার সয়লাব

ভেজাল মিনিকেট, নাজিরশাইল, বাশমতি ও আঠাশ চালে এখন ঈশ্বরদী বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। বাজারের বিভিন্ন দোকানে এসব চাল অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বাজারজাত নিষিদ্ধ থাকলেও কেউই তা মানছেন না।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী বাজারের পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্লাস্টিকের বস্তায় বাজারজাত করা চাল বিক্রি হচ্ছে। বস্তার ওপরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামের মোড়কে মিনিকেট, নাজিরশাইল, বাসমতি ও আটাশ চালের নাম লেখা রয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বস্তার ওপরে যেসব চালের নাম লেখা রয়েছে সেটা দেখে আমরা কিনে আনি। বিক্রির পর খরিদ্দাররা এসে অভিযোগ করেন, ভাত ভালো হয়নি। চাল দেখতে চিকন হলেও ভাত হয় মোটা। যেসব ব্র্যান্ডের চালের নাম লেখা থাকে আসলে সেসব ব্র্যান্ডের চাল নয়। কাটিং ও বাছাই মেশিনে চিকন ও চকচকে করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর জয়নগর মোকাম ও দাশুড়িয়া এবং কুষ্টিয়ার বেশ কিছু অসাধু চাল মিল মালিক অতিরিক্ত মুনাফার লোভে প্লাস্টিক বস্তায় ভর্তি নাজিরশাইল, মিনিকেট, বাশমতি, আঠাশসহ বিভিন্ন নামে প্রিন্ট করা বস্তায় এসব চাল বাজারে সরবরাহ করছে। ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া মোকামে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কাটিং ও বাছাই মিল স্থাপন করা হয়েছে। এসব মিলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে কম দামি চাল কাটিং এবং পালিশ করে বাজারজাতের মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা ভোগ করছে। জয়নগর মোকামের সম্পদ ট্রেডার্সের মালিক মঞ্জুর রহমান বলেন, এদের যন্ত্রণায় আমরা ভালো চাল বিক্রি করতে পারছি না। বর্তমানে ২৮-২৯ জাতের ধান বাজারে নেই। বাছাই মিলে ২৩ ও ৪৮ জাতের চাল কাটিং ও পালিশ করে ২৮ বলে বাজারজাত করা হচ্ছে। ৪৯ জাতকে কাটারি ও একসিদ্ধ করে নাজিরশাইল বলে বাজারজাত করা হচ্ছে। বিনা-৭ ধানের চাল মিনিকেট বলে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। এসব ব্র্যান্ডের আসল চালের দাম বেশি, তাই একটু কম দামে এগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের স্থানীয় প্রসিকিউটর ও উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সানোয়ার রহমান খোকন চালে ভেজাল ও প্রতারণার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে চালকল মালিক সমিতির কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। এরমধ্যে সংশোধন না হলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিযান শুরু হবে। বস্তায় নিজ মিলের ও প্রকৃত চালের সিল, প্লাস্টিকের বস্তা বর্জন এবং কুষ্টিয়া থেকে আমদানি করা চাল ক্রয়ের চালান থাকতে হবে বলে তিনি ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!