শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরে গিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ। প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন তিনি। সেই আপিলে ফের ভোট গণনা চলছে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, চিত্রনায়িকা নিপুণ পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে আপিল বিভাগের কাছে আবেদন করেছেন। আপিল বিভাগ পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। পুনরায় ভোট গণনা শেষে খুব দ্রুতই ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে নিপুণ জানিয়েছিলেন, ভোটের হিসেবে গড়মিল রয়েছে। নির্বাচন চলাকালীনও বেশ কিছু অভিযোগ আমি করেছি। সবমিলে ফলাফলে সন্তুষ্ট নই। কারচুপির আশঙ্কা করছি। তাই কমিশন বরাবর আপিল করেছি।
ভোট চলাকালীনও নির্বাচনের দিন জায়েদ খানের বিরুদ্ধে চাদরের নিচ দিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন নিপুণ।
এ ব্যাপারে সভপাতি পদে বিজয়ী ইলিয়াস কাঞ্চন শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, দুপুর ১টার মধ্যে আপিল করার কথা ছিল। আপিল করা হয়েছে। ২৬ টি ব্যালট বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে। তা কি সঠিকভাবে হয়েছে কি না তা জানতে আপিল করা হয়েছে। এটা কিভাবে হয়েছে তা যাচাই বাছাই করার জন্য আপিল করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট, অন্যদিকে নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিপুনের ২৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির ৪৪ অভিনয়শিল্পী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৪২৮ জন ভোটার ২২ জনকে প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার নির্বাচন করেন।