সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এ নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন দেশের নন্দিত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং পরপর টানা তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন নায়ক জায়েদ খান।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নায়িকা নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
সহসভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে মাসুম পারভেজ রুবেল ও ২১৯ ভোট পেয়ে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ডি এ তায়েব ১১২ ভোট ও রিয়াজ আহমেদ পেয়েছেন ১৫৬ ভোট।
সহসাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক ২১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত পেয়েছেন ১২৭ ভোট। ১৮৪ ভোট পেয়ে শাহানূর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলেক জান্ডার বো পেয়েছেন ১৫৫ ভোট।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন ২০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী নির্বাচিত ২০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিরব হোসেন পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত আজাদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফরহাদ পেয়েছেন ১৪৬ ভোট।
কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত ১১ প্রার্থী হলেন- অঞ্জনা সুলতানা (২২৫), অরুণা বিশ্বাস (১৯২), অমিত হাসান (২২৭), আলীরাজ (২০৩), কেয়া (২১২), চুন্নু (২২০), জেসমিন (২০৮), ফেরদৌস (২৪০), মৌসুমী (২২৫), রোজিনা (১৮৫) ও সুচরিতা (২০১)।
কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে ভোট পেয়েছেন- আফজাল শরীফ ১৬৩, আসিফ ইকবাল ১৬৮, গাংগুয়া ৯৯, ডন ১১০, নাদির খান ১৭৯, নানা শাহ ১৬২, পরীমণি ৭৯, বাপ্পারাজ ১১৭, রবিউল ইসলাম হরবোলা ৪৭, শাকিল খান ৭৯, সাংকোপাঞ্জা ৮২, সীমান্ত ১৭৩ ও হাসান জাহাঙ্গীর ১১১।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এই ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১২ মিনিটে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে চলে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪২৮ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোট ৩৫৫টি, বাতিল হয়েছে ১০টি। নির্বাচনে দুই প্যানেলে ২১ করে ৪২ এবং দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৪৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এ নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা শহিদুল হারুন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।