মন্ত্রিত্ব আর দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এখন ঠিক কোথায় আছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দুবাই থেকে বিমানের টিকিট কনফার্ম করেও তিনি ঢাকায় ফেরেননি।
তিনি কি এখনও দুবাই বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন, না কি তৃতীয় কোনো দেশে গেছেন?- তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, কানাডায় ঢুকতে না পেরে ডা. মুরাদ দুবাই ফিরে আসেন।
দুবাই এসে তিনি আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন। ভিসা বা সংসদ সদস্য হিসেবে সরকারি আদেশ (জিও) না থাকায় তাকে দুবাই ইমিগ্রেশন আটকে দেয়।
এ অবস্থায় শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দিনভর চেষ্টা করেও যখন তিনি দুবাইয়ে ঢুকতে পারেননি, তখন ঢাকায় ফেরার টিকিট কনফার্ম করেন৷ তবে তিনি ঢাকায় আসেননি।
সূত্র জানায়, তিনি ফ্লাইট পরিবর্তন করে অন্য কোনো ফ্লাইটে ঢাকায় আসতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলেও ফিরতে পারেন। অথবা দুবাইয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হলে থেকে তৃতীয় কোন দেশেও চলে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সহজেই তার অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
কানাডা ও দুবাই ঢুকতে না পেরে দেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় তার ফেরার কথা ছিল। এদিকে তার দেশে ফেরার খবরে সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা ভিড় করেন। তবে তিনি ওই নির্ধারিত ফ্লাইটে আসেননি।
ডা. মুরাদ হাসান কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ঢুকতে দেয়নি। ডা. মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টায় টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সে সময় তাকে জানানো হয়, তার সে দেশে প্রবেশে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছেন। তারপর তাকে দুবাইগামী একটি বিমানে তুলে দেওয়া হয়।
ডা. মুরাদ হাসান দুবাই ফিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে ভিসা না থাকায় তিনি সে দেশেও ঢুকতে পারেননি। পরে তিনি ঢাকায় আসার উদ্দেশ্যে বিমানের টিকিট কাটেন।
উল্লেখ্য, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ডা. মুরাদ হাসান গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশ্যে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন৷