ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটের পাবনার বড়ালব্রিজ রেলস্টেশনে মালবাহী ফাঁকা (বিসি) ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ায় ৬ ঘণ্টা ট্রেন-চলাচল বন্ধ থাকার পর লাইন সচল করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে রেললাইন সচল করার পর দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যায়।
তার আগে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটের বড়ালব্রিজ রেলস্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রীক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম স্টেশন থেকে মালবাহী ফাঁকা (বিসি) ট্রেনটি ঈশ্বরদী অভিমুখে আসছিল। বড়ালব্রিজ স্টেশনের আগে আসা মাত্র একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। মেইন লাইনে দুর্ঘটনার কারণে এই রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের স্ব-স্ব দফতরের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা ঈশ্বরদী লোকোসেড কারখানার থেকে রিলিফট্রেনের উদ্ধারকর্মী নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত স্টেশন অভিমুখে রওয়ানা হয়। সন্ধা সাড়ে ৬ টায় বড়ালব্রিজ স্টেশনে পৌঁছায়।
পরে রেলওয়ের উদ্ধারকর্মীরা রেললাইন থেকে মালবাহী ফাঁকা (বিসি) ট্রেনের একটি বগির লাইনচ্যুত হওয়া চাকাগুলো তুলে বিকল্প ইঞ্জিন দিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি অন্যত্র সরানো হয়। রেললাইন সচল করে রাত সোয়া ৯টায় লাইনে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়। পরবর্তীতে মালবাহী ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন জানান, বড়ালব্রিজ স্টেশনে দুর্ঘটনার কারণে দূর্ভোগে পড়ে আন্তঃনগর ট্রেনের ভ্রমণপ্রিয় ট্রেনযাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) পাবনার চাটমোহরে দাঁড়িয়ে থাকা দিনাজপুর-ঢাকাগামী ‘দ্রুতযান এক্সপ্রেসটি রাত ১০টার দিকে ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস চালানো হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাটি একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা। বিশেষ করে বড়ালব্রিজ স্টেশনে সিঙ্গেল রেললাইন হওয়ার কারণে, মুল লাইনে দুর্ঘটনার কারণেই বেশ কিছুটা সময় ট্রেন যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেষ্টার কমতি ছিল না। রেললাইনটি সচল করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।