মঙ্গলবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীর পাকশী-মোংলা নৌরুটের খনন ব্যয় বাড়ছে ৩৩৪ কোটি টাকা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ডিসেম্বর ৭, ২০২১ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীর পাকশী-মোংলা নৌরুটের খনন ব্যয় বাড়ছে ৩৩৪ কোটি টাকা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী মালামাল দ্রুত ও নিরাপদে পরিবহনের জন্য নতুন করে নৌরুট খনন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় চূড়ান্তভাবে ব্যয় বাড়ছে প্রকল্পের। মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত নৌরুট খনন করা হবে। এতে ব্যয় বাড়ছে ৩৩৪ কোটি টাকা।

এ নৌপথের মোট দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতা) জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর জন্য এ খনন করা হবে।

২০১৭ সালে প্রকল্পটি শুরু হয় যা শেষ হবে ২০২৫ সালে। মূল প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ৯৫৬ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্তই থাকছে।

এটিসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রায় সাত হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০ প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে একনেক সভা।

রূপপুরের পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রিয়্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উৎপাদন হবে এবং ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রূপপুরের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়া থেকে প্রথমে ভারী মালামাল মোংলা বন্দরে আসবে। এরপর মোংলা থেকে নৌপথে রূপপুরে মালামাল পরিবহনের জন্য প্রকল্পটিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এ নিয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) রফিক আহম্মদ সিদ্দিক বলেন, প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করা হবে মূলত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী মালামাল পরিবহনের জন্য। আমরা সবাই জানি নৌপথে পণ্য পরিবহনে খরচ কম। এ কারণে প্রকল্পে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে রূপপুর পর্যন্ত নৌপথের প্রয়োজনীয় ড্রেজিং করার নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তের আলোকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত বহমান গঙ্গা, পদ্মা, বলেশ্বর ও কঁচা নদী পর্যন্ত নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হবে। তবে খনন করতে হবে মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার নৌপথ।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। জনবল সংখ্যা বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি, নৌ-সহায়ক সাংকেতিক বয়া বাতিসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি স্থাপন, খাতটি নৌকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিবর্তে বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন, নৌ চলাচল সহায়ক যন্ত্রপাতির পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নতুন খাত হিসেবে ভ্রমণ ভাতা, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ, ইকো সাউন্ডার ও জিপিএস, মোটরসাইকেল, অফিস ফার্নিচার, পানির ফিল্টার, স্ট্যান্ড ফ্যান অন্তর্ভুক্তি, স্পিড বোটের পরিবর্তে কেবিন ক্রুজারের সংস্থান বাবদ ব্যয় বাড়ছে।

মেইন্টেন্যান্স ড্রেজিংয়ের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি, অফিস সরঞ্জামাদির পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, ফসলের ক্ষতিপূরণ ব্যয় বৃদ্ধি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কারণে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৮৭০ কিলোমিটার জরিপ, ১০০ হেক্টর ফসলের ক্ষতিপূরণ, ২০০ লাখ ঘন মিটার প্রকৌশল জরিপ, ৫৩৭ লাখ ঘনমিটার মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংসহ বাঁশের পাইলিং ও তর্জা বেড়া নির্মাণ করা হবে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত সার্বিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাপনা সিস্টেম স্থাপনের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রূপপুরে ভারী যন্ত্রপাতি সহজে আনা নেওয়া করার জন্য বড় ভেসেল (নৌযান) চলাচল উপযোগী ৪ দশমিক ২ থেকে ৪ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা (ড্রাফট) বজায় রেখে নৌ-রুট সচল করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে নেভিগেশন এইড স্থাপন করবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অফ পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মিত হবে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহল প্রকল্প। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের মালামাল স্বল্প সময়ে যাতে নিরাপদে পৌঁছানো যায় সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের মাধ্যমে খনন কাজের পরিমাণ ৯৩ দশমিক ১০ লাখ ঘনমিটার। পদ্মা বাংলাদেশের ব্যতিক্রমধর্মী নদী। পদ্মানদীর তলদেশ অনবরত পরিবর্তন হয়। তার জন্য প্রতি ঘনমিটার মাটির খনন-ব্যয় ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন খনন করা নৌরুটে সাধারণ বয়ার পরিবর্তে লাইটিং বয়া স্থাপন করা হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

আপনার জন্য নির্বাচিত
error: Content is protected !!