ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল-কেরোসিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া এরই মধ্যে সড়কে দেখা দিয়েছে। কমে গেছে যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা।
কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন না চালানোর ডাক দিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ার প্রতিবাদে পরিবহন মালিকেরা গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্রমিকেরা মালিকদের সঙ্গেই আছেন। পণ্য ও যাত্রীবাহী সব পরিবহন বন্ধ আছে। তবে এটি কোনো ঘোষিত কর্মসূচি নয় বলেও উল্লেখ করেন এ পরিবহন শ্রমিক নেতা।
এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সারা দেশের মালিক শ্রমিকদের ডাকে বাস ও ট্রাক চলাচল শুক্রবার থেকে বন্ধ থাকবে। ঢাকায় আজ রাতে কিছু বাস চললেও কাল সকাল থেকে চলবে না।
এনায়েত উল্লাহ আরও বলেন, রোববার বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠকে আছে। বৈঠকে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সারা দেশে ৬৫ হাজার যাত্রীবাহী বাস ও দেড় লাখ পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান রয়েছে উল্লেখ করে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির কার্যকরি সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার এভাবে তেলের দাম বাড়াতে পারে না। আমাদের সঙ্গে বসা উচিত ছিল। হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এদিকে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি। আজ সমিতির এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।