কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল (৫২) স্থানীয় সেলিমের একটি টিনের দোকানে বসে নিয়মিত আড্ডা ও সেখানে বসে ঠিকাদারি পরিচালনা করতেন। সোমবার (২২ নভেম্বর) রীতিমতো তার সহযোগীরাসহ ওই দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টার সামান্য পরের ঘটনা। মসজিদে চলছিল আসরের নামাজ। নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়া পাড়ায় হঠাৎ গুলির শব্দ। এসময় সাতটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান। গুলিবিদ্ধ অন্যদের কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, হামলাকারীরা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হতে পারে। চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই ওয়ার্ডের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ চলছিল কাউন্সিলরের।
এদিকে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন, সোহেলের এলাকায় একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তার শরীরে অন্তত ১০টি গুলি লেগেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
কাউন্সিলর সোহেলের ভাগিনা মোহাম্মদ হানিফ জানান, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এসময় প্রচণ্ড গুলির আওয়াজ শোনা যায়। দৌড়ে গিয়ে দেখি, মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।
আরও পড়ুন :