ঈশ্বরদী দুতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন হোসেনকে (৩৭) প্রকাশ্যে গুলি করার ঘটনার দুই দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দলীয় সূত্র ও এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। মামলার আসামিরা হলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস, তাঁর সহযোগী শহীদ আমিনপাড়ার আনিছুর রহমানের ছেলে আরাফাত হোসেন রাসেল, আমবাগান মহল্লার ফরহাদ হোসেনের ছেলে মো. আলমগীর, একই মহল্লার ছইমুদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও মাহাতাব কলোনির রাজ্জাকের ছেলে সোহেল ওরফে নাটা সোহেল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় শাহিন হোসেন তাঁর দলের এক যুবকের সঙ্গে শহরের আলহাজ্ব মোড় বাশেঁরহাটের একটি মাচার কাছে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে দুই যুবকের আসেন। তাদের মধ্যে একজন শাহিন হোসেনকে লক্ষ্য করে কাছ থেকে তিন রাউন্ড গুলি করে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে একজন পালিয়ে যায়। অপরজন পায়ে হেঁটে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ শাহিন মাটিতে পড়ে যান। তাঁর বুকে ও পিঠে গুলি লাগে। এ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী, রাজশাহী এবং ভোররাতে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শনিবার রাতে তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।
ঘটনার পরদিন রোববার দুপুরে যুবলীগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল। সংবাদ সম্মেলনে পারিবারিক অভিযোগের বরাত ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্র ধরে গুলি হামলায় ঘটনায় দায়ী করে জুবায়ের বিশ্বাস ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির পাশাপাশি যুবলীগ নেতা শাহিন শহরের আলহাজ্ব বাশেঁরহাটে টোল আদায়ের কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে স্থানীয় রাজনীতিতে দ্বন্দ্বের জের যুবায়ের বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁরও বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে শাহিনকে গুলি করা হয়।
এ দিকে শাহিনের শাশুড়ি কল্পনা খাতুন এ ঘটনার বিচার দাবি করে জানান। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় শাহিনের চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।