শুক্রবার , ৮ অক্টোবর ২০২১ | ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ঈশ্বরদী
  4. করোনাভাইরাস
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প ও কবিতা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. তারুণ্য
  11. দাশুড়িয়া
  12. ধর্ম
  13. নির্বাচন
  14. পাকশী
  15. পাবনা

কিউকমের বিপণন প্রধান আরজে নীরব গ্রেপ্তার

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
অক্টোবর ৮, ২০২১ ৫:১৪ অপরাহ্ণ

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের বিপণন বিভাগের প্রধান হুয়ামুন কবির নীরবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আরজে নীরব নামেই বেশি পরিচিত। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বলছে, প্রায় ৫৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় আজ শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) রাজধানীর আদাবরের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে চাইলে শুনানি শেষে হাকিম মাহমুদা আক্তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পণ্য কেনার জন্য ৫৬ লাখ টাকা কিউকমকে দিয়েছেন ওই গ্রাহক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তিনি পণ্য পাননি। পরে কিউকমের অফিসে যোগাযোগ করলে তাঁকে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। কিউকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে করা ওই মামলায় নীরবের নাম রয়েছে ৪ নম্বরে।

তেজগাঁও বিভাগের এডিসি হাফিজ আল ফারুক  বলেন, রেডিও জকি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আরজে নীরব ছিলেন কিউকমের হেড অব সেলস (কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস)। বিভিন্ন মাধ্যমে কিউকমের প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে তিনি আকৃষ্ট করতেন।

এর আগে পল্টন থানায় আরেক গ্রাহকের করা মামলায় কিউকম কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়াকে গত ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

দেশে ই-কমার্সের ব্যবসা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছিল। এর মধ্যে মহামারী শুরু হলে নতুন বেশ কিছু কোম্পানি রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করে। এর মধ্যে কিউকম একটি। বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রির প্রলোভন দিয়ে এসব কোম্পানি লাখ লাখ গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব ঘটনায় গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে নজরদারিতে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে গ্রাহকের অর্থ লোপাটের ভয়াবহ চিত্র। অভিযোগ রয়েছে, ই-অরেঞ্জ ১ হাজার ১০০ কোটি, ইভ্যালি ৯৫০ কোটি, ধামাকা ৭৫০ কোটি, নিরাপদ ৭৮ কোটি, এসপিসি ২৬৮ কোটি, দালাল প্লাস ২০০ কোটি, কিউকম ৪০০ কোটি এবং সিরাজগঞ্জ শপ গ্রাহকের ৪৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

আপনার জন্য নির্বাচিত
error: Content is protected !!