ঈশ্বরদীর পাকশীতে পদ্মা নদীর তীরে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প (আরএনপিপি) পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরপর রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের নিরাপত্তাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভায় আলোচনা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ঈশ্বরদী বিমান বন্দরে অবতরণ করে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গাড়ির বহর নিয়ে সড়ক পথে প্রকল্পে যান তিনি। পরে প্রকল্পের ভেতরে এএসই কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রকল্পের রাশিয়ান কর্মকতা, কেবিনেট সচিব, পুলিশের আইজি, সেনাকর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এ সময় কেবিনেট সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (আরএনপিপি) নির্মাণ ঠিকাদার রাশিয়ার রসাটমের এটোমস্ট্রোয়এক্সপোর্ট (এএসই) বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রূপপুর প্রকল্পের সাইট অফিসের ইনচার্জ কে বি এম রুহুল কুদ্দুস জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রকল্প পরিদর্শনের বিষয়টি সম্পূর্ণরুপে সরকারি কর্মসূচি ছিল। পুরো বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করেছেন।।
আরএনপিপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র মতে, রূপপুর প্রকল্পে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, কেবিনেট সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন উপলক্ষ্যে ঈশ্বরদী থানার মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়। ঈশ্বরদী বিমান বন্দর থেকে রূপপুর প্রকল্প পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুরো ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শন কর্মসূচিতে স্থানীয় এমপি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারও সঙ্গে স্বাক্ষাতকার দেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে মতবিনিময় সভায় আরএনপিপির নিরাপত্তা, নিরাপত্তা ফোর্স বেজ নির্মাণসহ নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বিকেলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকলেই রূপপুর ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে গিয়েছেন বলে রূপপুর প্রকল্পের সাইট অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।