শনিবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলরুটের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করলেন রেলসচিব

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ ৫:২৭ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলরুটের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করলেন রেলসচিব

ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশির রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের মালামাল-যন্ত্রপাতি পৌঁছাতে ঈশ্বরদী-পাকশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা।

আজ শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরদী-পাকশি রেলরুটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেঁষে নবনির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্টেশন এলাকা পরিদর্শন শেষে গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
এসময় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশলী, পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সচিব সেলিম রেজা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার রেলবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেখ হাসিনার সরকার মানে উন্নয়ন যা কিছু হয়েছে দৃশ্যমান।

এর আগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর ৭২৬ ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন এলাকা ঘুরে সংস্কার কাজগুলো পরিদর্শন করেন সচিব।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ মো. আব্দুর রহিম জানান, ২০১৮ সালের এপ্রিলে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। পরে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা প্রবর্তন কাজটি এখনো চলমান রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে প্রকল্পের কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম ইমরুল কায়েস পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রকৌশলী আসাদুল হক, পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম, পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, পাকশি বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, পাকশি বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল, প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, পাকশি বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম (লোকো) বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল। এ সময় প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

১৯১৫ সালে পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্থাপনের কিছু সময় পর তৎকালীন সাঁড়াঘাটের বরফকল থেকে বরফ পরিবহন করার সুবিধার্থে তৎকালীন ব্রিটিশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঈশ্বরদী জংশন থেকে কিছুটা পশ্চিমদিক দিয়ে এই ব্রডগেজ রেলপথটি নির্মাণ করে। পরবর্তীকালে পাকশী বিভাগীয় সদর দফতরে কর্মরত সেই সময়কার রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ কর্মস্থলে যাতায়াতের প্রয়োজনে এই রেলপথটি দিয়ে ‘পাইলট’ নামে একটি ট্রেন চালু করে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তৎকালীন সরকার এই পাইলট ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীকালে এই রেলপথে শুধু রেলের কর্মকর্তাদের মোটর ট্রলি মাঝে মধ্যে চলাচল করতো, কোন ধরনের রেল চলেনি এই পথ দিয়ে। পাকশি রেলওয়ে বিভাগ সেই পুরোনা রেললাইন সরিয়ে আধুনিক নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দৃশ্যমান রেলরুট ফিরে পেয়েছে ঐতিহ্য। এই রেলপথটি যুক্ত হলো দেশের রেল নেটওয়ার্কে।

আরো পড়ুন-
শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন: রেলসচিব সেলিম রেজা

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ