সরকারী ছুটির দিনে (অফ ডিউটিতে) কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অপরাধে প্রশাসনিক শাস্তি প্রদানের বিরুদ্ধে ও বন্ধ থাকা ইনক্রিমেন্ট চালুর দাবীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে ঈশ্বরদী আইডিইবি ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ে সিগন্যাল এ্যাসোসিয়েশন পাকশী শাখার পক্ষ থেকে এসব কর্মসুচি পালন করা হয়।
রেলওয়ে সিগন্যাল এ্যাসেসিয়েশনের কেন্দ্রিয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল কালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় সভাপতি প্রভাস কুমার মল্লিক বলেন, শুক্রবার ও শনিবার সরকারী ছুটির দিনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য দেখিয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রেলওয়ে সিগন্যাল শাখার বেশ কয়েকজন নিয়োমিত কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্তসহ পাঁচ বছরের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করেছেন। কিন্তু গত ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রেলওয়ে মহাপরিচালকের দেয়া পত্রের নির্দেশ মোতাবেক সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী বিভাগের মাঠ পর্যায়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিরা নিয়োমিত কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কিন্তু কর্মকর্তারা এমএস মাহাবুব,এমএস রেজাউল করীম ও খালাসী সোহেল রানাসহ অনেক কয়েকজনকে সাময়িক বরখাস্ত ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করেছেন।
সভাপতি আরো বলেন, মহাব্যবস্থাপক পূর্ব এর কার্যালয়ের আইন শাখার এলও শাখার ই/৫৭/এইচডি-ডবিøউপি/২০১০ তারিখ-০৭.০৯.২০২১ ইং পত্রে সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে, অনডিউটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবেনা । কিন্তু অফডিউটিতে বিশ্রামকালিন ও ছুটিকালিন সুবিধা ভোগের ক্ষেত্রে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে এ্যাক্ট’এ বিশ্রাম কালের সংজ্ঞা ও ফান্ডামেন্টাল রুল-৬৮ এর এসআর-২০৯ বিএসআর-১৫৩ অনুযায়ী সুবিধা ভোগ করবেন। যা রেলওয়ে সাধারণ ও আনুষ্ঠানিক বিধির ১৭৭,১৭৮ ও ১৭৯ ধারাকে স্পষ্ট করা হয়েছে। তাই অফ ডিউটিতে কোন প্রকার ই এন্ড ডি বিধি প্রযোজ্য হতে পারবেনা। কিন্তু ভুক্তভোগীরা লিখিত জবাবে নিয়োমিত কর্মচারী হিসেবে ডিউটি করেছেন বলে উল্লেখ করেছে। তারপরও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি প্রদান করেছেন। যা মোটেও সমিচিন হয়নি।
তাই দ্রুত কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত রোধ করে সিগন্যাল কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্তাদেশ ও ইনক্রিমেন্ট চালু না করা হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসুচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি রফিকুল হাসান স্বপন, কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা এনামুল হক খান, তরিকুল আলম,কেন্দ্রিয় কমিটির অর্থ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল রাশেদ,সহসাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম,কার্যকরি সভাপতি মনিরুজ্জামান চৌধুরী, ঢাকার নেতা নুরউদ্দীন সোহাগ ও আলাউদ্দিন লিমন,ময়মনসিংহের নেতা সিরাজুল ইসলাম, ফিরোজ কবীর রুবেল, সিগন্যাল এ্যাসোসিয়েশনের ঈশ্বরদী শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাগর হোসেন, সোহাগ হাসান, শামিমুর রহমান,ফেরদৌস রায়হান, এমদাদুল হক,শফিউর রহমান,আলম আলী,রেজাউল করীম,হাসান হাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
