ঈশ্বরদীতে শুক্রবার রাতে আকস্মিক বন্যায় রাস্তা ভেঙে ৩টি বিলের পানি উপচে ৩ হাজার একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। উপজেলার খেড়ের দাঁইড়ে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্লুইস গেট অকেজো থাকায় বাঁশেরবাদা ক্যানেলের পানি বের হতে না পেরে এই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
রাতে পানির তোড়ে ওই এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র পাকা রাস্তার মাঝ বরাবর ভেঙে বন্যার পানিতে দশভাগি, হেটেগাড়া ও টাকিমারা বিলের পানি রাস্তার অপর প্রান্তের মাঠে প্রবেশ করে। এতে ৩ হাজার একর জমির ফসল তলিয়ে যায়। রাস্তা ভেঙে উপজেলা সদরের সঙ্গে এসব গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ধান, মুখিকচু, ওলকচু, চালকুমড়া, পটোলসহ শীতকালীন ও গ্রীষ্ফ্মকালীন বিভিন্ন ফসল ও সবরি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি জমির ফসল ছাপিয়ে লিচু, মেহগনি ও আম গাছের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিমজ্জিত হয়েছে।
উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের মামনি কৃষি খামারের মালিক ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃষক শাজাহান আলী পেঁপে বাদশা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্লুইস গেট অকেজো থাকায় খয়ের দাঁইড় এলাকার পাকা রাস্তা বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে ৩ হাজার একরেরও বেশি জমির ফসল তলিয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ শামীম জানান, বাঙালপাড়া গ্রামের আবুল শাহর বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবহমান ক্যানেলের পানি উপচে বক্তারপুর গ্রামের অনেক এলাকা ডুবে গেছে। বক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃষক নুরুন্নাহার বেগম জানান, স্লুইস গেটটি বন্ধ রাখা গেলে এই বিলের পানি এভাবে লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারত না। তিনি দ্রুত রাস্তা ও স্লুইস গেট সংস্কার করার অনুরোধ জানান।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্লুইস গেটটি নষ্ট হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি নষ্ট থাকে তবে এটি মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, বন্যার পানি কমলে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : সমকাল