মঙ্গলবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে চাকরি দেওয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিল নারী রাজাকারের ছেলে!

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ ৬:২১ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে চাকরি দেওয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিল নারী রাজাকারের ছেলে!

শেখ মেহেদী হাসান : জিন্নাহ আলী (৫৯) নামের এক ব্যক্তির কাছে প্রায় জিম্মি হয়ে পড়েছে ঈশ্বরদীস্থ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) ১২৩ খামার শ্রমিক। শ্রমিকদের ছেলেদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্ধকোটির বেশি টাকা। এমনই অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই কারণে ইনস্টিটিউটের খামার সমিতি থেকে জিন্নাহ আলীকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে শুরু হওয়া বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের খামার শ্রমিকদের সমিতি কক্ষে আলোচনা ও প্রতিবাদ সভাতে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের খামার সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, জিন্নাহ আলী ওরফে জিন্না ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী দাইড়পাড়ার (পশ্চিমপাড়া) মৃত ইমান আলী ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই এলাকার একমাত্র নারী রাজাকার সারেজান নেছার ছেলে। তিনি দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের খামারে শ্রমিকের কাজ করছেন। একই সঙ্গে বর্তমান ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগের নির্বাচিত শীর্ষ জনপ্রতিনিধির আস্থাভাজন এক নেতা। সেই সুবাদে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট জাতীয় শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী আঞ্চলিক শাখার কায্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভায় জিন্নাত আলীকে আইন ও দর কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা জোড়ালোভাবে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়ে বহিষ্কার দাবি করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এ দাবি বাস্তবায়িত হয়নি।

ঈশ্বরদীস্থ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) একাধিক সূত্র মতে, জিন্নাহ আলী খামার শ্রমিক হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে ট্রেন্ডারবাজি, মালামাল সরবারহসহ নানা রকম কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ছিলেন। ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ চুক্তিতে স্বল্প বেতনে খামারে কাজ করলেও নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাকরি বাণিজ্য করে কোটিপতি বনে আয়েশি জীবনযাপন করে আসছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে সূত্রগুলোর অভিযোগ।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের খামার সমিতির বর্তমান সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘খামার শ্রমিক জিন্নাহ আলী ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘকাল ধরে বিনাভোটে খামার শ্রমিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। এই সময় তিনি খামারের অন্যান্য শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণামূলকভাবে অর্ধকোটি বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই সোমবার সমিতির সভায় সর্বোসম্মতিক্রমে জিন্নাহ আলীকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’ এখন থেকে তার নিকট থেকে মাসিক চাঁদাও নেওয়া হবে না বলে জানান সভাপতি।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আমজাদ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘খামার শ্রমিক জিন্নাহ আলীর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি শোনার পর থেকে আমার কার্যালয়ে জিন্নাহ আলীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ ডিজি আরো বলেন, ‘জিন্নাহ আলী রাজাকারের পুত্র বিষয়টি পত্রপত্রিকার মাধমে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সমিতি থেকে অব্যহতি পাওয়া খামার শ্রমিক জিন্নাহ আলীর বক্তব্য জানতে বিএসআরআই খামারে গিয়েও জিন্নাহকে পাওয়া যায়নি। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করলে খামারে চাকরি দেওয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা নেওয়া, আধিপত্য বিস্তার করা, শ্রমিকলীগের নেতা হওয়া ও রাজাকার পুত্রের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘সবইতো শুনেছেন, জেনেছেন, আবার আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন কেনো?’ নিউজ করতে এসব বিষয়ে আপনার মতামত দরকার বলা হলে জিন্নাহ আলী বলেন, ‘আমার কোনো মতামত নেই।’ ‘যা ইচ্ছে তাই লেখেন’ বলেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

আপনার জন্য নির্বাচিত

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ